ক্যাচই ধরতে পারলেন না উইকেটকিপার। হাত থেকে মাটিতে বল পড়ে গেল। সেই বল তুলে নিয়ে কট-বিহাইন্ডের আবেদন করলেন। আর তাতে আউটও দিয়ে দিলেন আম্পায়ার। পাড়ার কোনও ম্যাচে এরকম ঘটনা ঘটেনি। বরং অনূর্ধ্ব-২৩ স্তরের কর্নেল সিকে নাইডু ট্রফির ফাইনালে এরকম ভয়াবহ আম্পায়ারিংয়ের সাক্ষী থাকল ভারত। আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আম্পায়ারিংয়ের ওরকম হতশ্রী দশা দেখে আঁতকে উঠেছেন অনেকেই। যদিও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট আম্পায়ারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না, তাও স্পষ্ট নয়।
ঠিক কী ঘটেছিল?
গত রবিবার থেকে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে কর্নেল সিকে নাইডু ট্রফির ফাইনাল শুরু হয়েছে। টসে জিতে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কর্ণাটক। ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরুর ওপেনাররা খুব ভালো শুরু করেন। প্রথম উইকেটে ৬৮ রান যোগ করে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু ২১ তম ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে যান প্রখর চতুর্বেদী। যা কোনওভাবেই আউট ছিল না।
উত্তরপ্রদেশের কুণাল ত্যাগীর বলটা পিচে পড়ে লেগসাইডের দিকে চলে যায়। পুল মারতে যান প্রখর। কিন্তু বলটা উইকেটকিপারের হাতে চলে যায়। নিজের বাঁ-দিকে কিছুটা ঝাঁপিয়ে বলটা ধরে ফেলেন আরাধ্য যাদব। কিন্তু মাটিতে পড়তেই তাঁর হাত থেকে বল ছিটকে বেরিয়ে যায়। বলটা মাটি থেকে কুড়িয়ে নিয়ে বোলারের সঙ্গে কট-বিহাইন্ডের জন্য জোরালো আবেদন করতে থাকেন। প্রাথমিকভাবে আঙুল না তুললেও আরাধ্য আবেদন করার পর আউট বলে জানিয়ে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। তিনি যখন আঙুল তুলছিলেন, তখন আরাধ্য মাটি থেকে বলটা টেনে নিজের গ্লাভসের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে সেলিব্রেশন করতে দৌড়ান।
আর সেই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে যান প্রখর। হাত তুলে আম্পায়ারকে নিজের হতাশা প্রকাশ করতে থাকেন। কিন্তু আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। ফলে মাঠ ছাড়তে হয় প্রখরকে। সেই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের উইকেটকিপার আরাধ্যের স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও আম্পায়ার কীভাবে এরকম মারাত্মক ভুল করলেন, তা ভেবে উঠতে পারছেন না কেউ। কারণ ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে যখন আরাধ্যের হাত থেকে বলটা বেরিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন আম্পায়ার।
যদিও সেই ভুল সিদ্ধান্তের ফলে খুব একটা লাভ হয়নি উত্তরপ্রদেশের। কারণ প্রথম ইনিংসে ৩৫৮ রান তোলে কর্ণাটক। জবাবে মাত্র ১৩৯ রানেই গুটিয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৮৫ রান করেছে কর্ণাটক। জয়ের জন্য ৮০৫ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট পড়ে যায় উত্তরপ্রদেশের। কোনও রান তোলার আগেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলেন আরাধ্যরা।