ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন শাই হোপ। রবিবার বার্বাডোজ রয়্যালসের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক শতরান করেন গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের ক্যারিবিয়ান তারকা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মারকাটারি সেঞ্চুরি করার পথে রাকিম কর্নওয়ালের এক ওভারে ৪টি ছক্কা ও ২টি চার মারেন হোপ। অর্থাৎ, ওভারের ৬টি বলকেই বাউন্ডারি লাইনের বাইরে পাঠান তিনি।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে লিগের ৩০তম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে গায়ান ও বার্বাডোজ। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে গায়ানা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২২৬ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হোপ। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকে যান ৮টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৪১ বলে। অর্থাৎ, হাফ-সেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে শাই হোপ খরচ করেন ১৮টি বল। শেষমেশ ৯টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ১০৬ রান করে আউট হন হোপ।
প্রথম ইনিংসের ১৬তম ওভারে কর্নওয়ালের প্রথম বলে চার মারেন হোপ। ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। পঞ্চম বলে ফের চার মারেন শাই। শেষ বলে ছয় মেরে ওভার শেষ করেন হোপ। অর্থাৎ সেই ওভারের ৬টি বলে যথাক্রমে ৪, ৬, ৬, ৬, ৪ ও ৬ রান সংগ্রহ করেন হোপ। ওভারে মোট ৩২ রান ওঠে।
এছাড়া গায়ানার কেভলন অ্যান্ডারসন ৪৭, ওডিন স্মিথ ২১, সইম আয়ুব ১৬ ও শিমরন হেতমায়ের ১৬ রান করেন। বার্বাডোজের জেসন হোল্ডার ও ওবেদ ম্যাককয় ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি উইকেট নেন আকিম জর্ডন। কর্নওয়াল ৪ ওভারে ৫৫ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বার্বাডোজ রয়্যালস ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৮ রানে আটকে যায়। ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে গায়ানা। ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফ-সেঞ্চুরি করেন রিভাল্ডো ক্লার্ক। তিনি ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৩ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। কার্লোস ব্রাথওয়েট ১৮ ও জেসন হোল্ডার ৮ রান করেন।
গায়ানার ইমরান তাহির ৪ ওভারে ২৩ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন গুড়াকেশ মোতি। ম্যাচের সেরা হন হোপ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড বিস্তারিত ক্রীড়াসূচি - এর জন্য চোখুন HT Bangla - তে