শুভব্রত মুখার্জি:- হারারে স্পোর্টস ক্লাবে প্রথম টি-২০ ম্যাচে এক টানটান উত্তেজনার সাক্ষী থেকেছিল দর্শকরা। জিম্বাবোয়ে বনাম আয়ারল্যান্ডের প্রথম ম্যাচে একেবারে শেষ বলে নাটকীয় জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল জিম্বাবোয়ে। ফলে ১-০' তে এগিয়ে থেকেই দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেছিল তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যারি টেক্টর কার্টিস ক্যাম্ফার এবং মার্ক আডায়ারের ভালো পারফরম্যান্সে ভর করেই দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নিল আয়ারল্যান্ড। আর এই ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ করে সমতায় ফিরল তারা। গত ম্যাচের সব নাটক, সব বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে ম্যাচে নেমেছিল দুই দল। ম্যাচে দুই বল বাকি থাকতেই চার উইকেটে জিতে গেল আয়ারল্যান্ড।
এদিন ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবোয়ে। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করতে সমর্থ হয়। এদিন জিম্বাবোয়ের শুরুটা খুব খারাপ হয়। দলীয় ১৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে তারা। ওয়েসলি মাধেভেরে আউট হন মাত্র নয় রান করে। আর মারুমানি করেন শূন্য রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন ক্লাইভ মাদান্দে। তিনি মাত্র ৩৯ বলে ৪৪ রানে নট আউট থাকেন। তাঁর ইনিংসে তিনি হাঁকান দুইটি চার এবং একটি ছয়। এছাড়াও রায়ান বার্ল অপরাজিত থেকেছেন ৩৮ রানে। কামুনহুকামহে করেছেন ৩৬ এবং অধিনায়ক শন উইলিয়ামস করেন ১৭ রান।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে দুটি উইকেট নেন মার্ক আডায়ের। এছাড়াও কার্টিস ক্যাম্ফার, ক্রেগ ইয়ং এবং গ্যারেথ ডেলেনি নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ১৬৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ও ভালো হয়নি। দলীয় ২০ রানের মধ্যেই পড়ে যায় দুই উইকেট। দুই ওপেনার পল স্টার্লিং (১০) এবং অ্যান্ডি বালবির্নি (৮) ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। আয়ারল্যান্ড ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন হ্যারি টেক্টর এবং কার্টিস ক্যাম্ফার জুটি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা ৬৬ রান যোগ করেন। হ্যারি টেক্টর ৩৮ বলে ৪৮ রান করে আউট হয়ে যান। তিনি তাঁর ইনিংসে মারেন পাঁচটি চার।
কার্টিস ক্যাম্ফার মাত্র ২৪ বলে ৩৭ রান করেছেন এদিন।মেরেছেন চারটি চার। এছাড়াও মার্ক আডায়ের ১৩ বলে ১৯ এবং জর্জ ডকরেল ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচে দুই বল বাকি থাকতে চার উইকেট হাতে নিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড। জিম্বাবোয়ের হয়ে দুটি উইকেট নেন রিচার্ড নাগারভা।