শুভব্রত মুখার্জি:- ভারতে সবেমাত্র শেষ হয়েছে ত্রয়োদশ বিশ্বকাপের আসর। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতন ট্রফি জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। এই বিশ্বকাপেই অত্যন্ত জঘন্য পারফরম্যান্স করেছে শ্রীলঙ্কা দল। ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়ন দল গ্রুপ পর্বের বাধা টপকাতে ব্যর্থ হয়েছে।
এমন আবহে দেশের ক্রিকেটেও চলছে ডামাডোল। বাজে পারফরম্যান্স-সহ একাধিক অভিযোগে গোটা শ্রীলঙ্কা বোর্ডকে ভেঙে দেয় সেই দেশের সরকার। যদিও দেশের আদালত বিষয়টিতে পরবর্তীতে হস্তক্ষেপ করেছে। তবুও ক্রিকেট বোর্ডের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার কারণে শ্রীলঙ্কা বোর্ডের আইসিসির সদস্যপদ আপাতত বাতিল করা হয়েছে।
এই সময়ে ক্রিকেট দল বা ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে জল্পনা ছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়েছে আইসিসি। তাদের বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে শ্রীলঙ্কা দল। যদিও তাদের সদস্যপদ আপাতত বাতিল থাকছে।
তবে এই সুখবরটির মাঝেও বেশ খারাপ খবর রয়েছে দেশটির ক্রিকেটের জন্য। সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সরানো হয়েছে শ্রীলঙ্কা থেকে। সেই জায়গায় এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। পাশাপাশি আইসিসি শ্রীলঙ্কা বোর্ডকে যে আর্থিক সহায়তা করে তা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সমস্ত ফান্ডের আপাতত নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইসিসি নিজেই।
মঙ্গলবার এক আলোচনায় বসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল অর্থাৎ আইসিসির বোর্ড। তাদের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের উপর ঠিক কি কি শর্তে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে তা স্পষ্ট করেছে আইসিসির বোর্ড।
আইসিসির তরফে জানানো হয়েছে শ্রীলঙ্কা বোর্ডের রিপ্রেজেন্টেশন শুনেছে আইসিসি। তারপর তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে শ্রীলঙ্কা দল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং আইসিসির ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে। এই বিষয়ে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা নেই তাদের তরফে। যতদিন না পর্যন্ত বোর্ডের উপর থেকে সমস্ত সরকারি হস্তক্ষেপ না সরবে, ততদিন শ্রীলঙ্কা বোর্ডের উপরে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে। উল্লেখ্য শ্রীলঙ্কার সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যেখানে ক্রিকেট বোর্ডের সমস্ত কর্মকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল।