প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে ডেজার্ট ভাইপার্সের বিরুদ্ধে নিজেদের নবম লিগ ম্যাচে জিততেই হতো দুবাই ক্যাপিটালসকে। কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচে জয়ের জন্য এমন এক পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে যায় দুবাই, যেখানে একজন ব্যাটারকে নিজের সর্বোচ্চ দক্ষতার পরিচয় দিতে হতো। ম্যাচ জিততে শেষ বলে ছয় রান দরকার ছিল ক্যাপিটালসের। অর্থাৎ, বোলার নো-ওয়াইড না করলে ছক্কা হাঁকানো ছাড়া উপায় ছিল না ব্যাটারের সামনে।
রাজার মতো লড়ে তেমন পরিস্থিতি থেকে ক্যাপিটালসকে ম্যাচ জেতালেন সিকন্দর। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে প্লে-অফের লড়াইয়ে ভাসিয়ে রাখেন জিম্বাবোয়ের তারকা অল-রাউন্ডার।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ডেজার্ট ভাইপার্সকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় দুবাই ক্যাপিটালস। ভাইপার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭১ রান তোলে। ওপেন করতে নেমে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন অ্যালেক্স হেলস। ৩৭ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন।
অপর ওপেনার ফিল সল্ট ১১ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া ড্যান লরেন্স ১১ বলে ১৫, কলিন মুনরো ৫ বলে ৬, স্যাম কারান ১৮ বলে ১৭, অ্যাডাম হোস ৮ বলে ৭, মাইকেল জোনস ২০ বলে ২০, আলি নাসের ৬ বলে ৬ ও রোহন মুস্তাফা ৪ বলে ৬ রানের যোগদান রাখেন।
দুবাইয়ের ওলি স্টোন ও ভ্যান ডার মারউই ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন স্কট কুগলেইন ও হায়দার আলি। সিকন্দর রাজা ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে দুবাই ক্যাপিটালস একসময় ১৯ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান তুলে ফেলে। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৩ রান দরকার ছিল তাদের। শেষ ওভারে আলি নাসেরের প্রথম বলে চার মারেন কুগলেইন। দ্বিতীয় বলে কোনও রান ওঠেনি। তৃতীয় বলে ১ রান নেন তিনি। চতুর্থ বলে ২ রান নেন সিকন্দর রাজা। পঞ্চম বলে কোনও রান সংগ্রহ করতে পারেননি সিকন্দর। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ বলে ৬ রান দরকার ছিল ক্যাপিটালসের। নাসেরের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যাপিটালসকে ম্যাচ জেতান সিকন্দর।
৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে অপরাজিত ৬০ রান করে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন সিকন্দর রাজা। ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৫৭ রান করেন স্যাম বিলিংস। ভাইপার্সের স্যাম কারান ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
এই জয়ের সুবাদে ৯ ম্যাচ ক্যাপিটালসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ পয়েন্ট। তারা লিগ টেবিলের চার নম্বরে উঠে আসে। ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে রয়েছে এমআই এমিরেটস। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা গাল্ফ জায়ান্টস ও আবু ধাবি নাইট রাইডার্স, উভয় দলের সংগ্রহে রয়েছে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট করে। শারজা ওয়ারিয়র্সও ৯ ম্যাচে ক্যাপিটালসের মতো ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। তবে তারা নেট রান-রেটে পিছিয়ে রয়েছে দুবাইয়ের থেকে। ৯ ম্য়াচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শেষে রয়েছে ডেজার্ট ভাইপার্স।