চলতি টেস্টে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যা এর আগে পর্যন্ত তিনবার ঘটেছিল। এই ঘটনা প্রথমবার ১৯৫১-৫২ সালে কানপুরে অনুষ্ঠিত ভারত বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচে দেখা গিয়েছিল, এরপরে এমন ঘটনা ২০২০-২১ সালে আমদাবাদে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচে দেখা গিয়েছিল। শেষবার এটি ঘটে ছিল ডারবানে। ২০২১-২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ ম্য়াচেও এমনটা ঘটেছিল। ডারবান ম্য়াচের প্রায় দু বছর পরে আবার এমন ঘটনা ঘটেছে। আসলে এই ম্যাচে আটজন ভিন্ন ভিন্ন বোলারকে দিয়ে ওপেনিং বল করানো হয়েছে। অর্থাৎ এই টেস্টের প্রত্যেক ইনিংসে আলাদা আলাদা ওপেনিং বোলারকে দেখা গিয়েছে।
যখন ইংল্যান্ড টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন, ভারতের তরফ থেকে ওপেনিং বোলার হিসাবে দেখা গিয়েছিল মহম্মদ সিরাজ ও আকাশ দীপকে। এই সময়ে সিরাজ ১৮ ওভারে বল করে ৭৮ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন এবং আকাশ দীপ ১৯ ওভার বল করে ৮৩ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। তবে ইংল্যান্ড যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল তখন রোহিত শর্মা বোলিং-এর ওপেনিং জুটিকে বদলে ফেলেন। এবারে তিনি শুরু করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দিয়ে। অন্যদিক থেকে বোলিং ওপেনিং করেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। এই সময়ে রোহিতের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন অশ্বিন। ১৫.৫ ওভার বল করে ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। জাদেজা ২০ ওভার বল করে নেন একটি উইকেট।
শুধু রোহিত শর্মা নন, এই কৌশলে শুরু করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। প্রথম ইনিংসে ভারতের সামনে ৩৫৩ রান তুলে, জেমস অ্যান্ডারসন ও ওলি রবিনসনকে দিয়ে বোলিং ওপেনিং করান. অ্যান্ডারসন ১৮ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেও, রবিনসন ১৩ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের কৌশল একেবারে বদলে ফেলেন বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের বোলিং ওপেনিং করান জো রুটকে দিয়ে। অন্যদিক থেকে বল করেন টম হার্টলি। জো রুট এখনও পর্যন্ত চার ওভার বল করে ১৭ রান দিয়েছেন। হার্টলি ৩ ওভারে ২২ রান দিয়েছেন।
অর্থাৎ এই টেস্টে আটজন ওপেনিং বোলারকে দেখা গেল। অবশ্যই এর পিছনে রাঁচির পিচের অনেকটা ভূমিকা রয়েছে। তবে বেন স্টোকস যে রোহিত শর্মার ফর্মুলাকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন সেটা এদিন বেশ ভালো করেই বোঝা গিয়েছে।