ডাকাবুকো ব্যাটিং করেন বলেই কেএস ভরতকে সরিয়ে টেস্টের প্রথম একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন ধ্রুব জুরেল। ব্যাট হাতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা দেখিয়েছেন ইতিমধ্যেই। তবে উইকেটকিপার হিসেবে প্রতি মুহূর্তে টিম ম্যানেজমেন্টকে আশ্বস্ত করে চলেছেন জুরেল।
রাজকোট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বেন ডাকেটকে যেভাবে রান-আউট করেন জুরেল, তা প্রশংসা কুড়িয়ে নেয় বিশেষজ্ঞদের। এবার রাঁচি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ওলি রবিনসনের যে ক্যাচটি ধরেন জুরেল, তাকে এককথায় অসাধারণ বলা ছাড়া উপায় নেই। একনজরে দেখে ক্যাচটিকে চমকপ্রদ মনে না হলেও ক্রিকেটের বোদ্ধারা বোঝেন, সেটি ধরা কত কঠিন ছিল।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে রবীন্দ্র জাদেজার বলে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে জুরেলের দস্তানায় ধরা পড়েন রবিনসন। প্রথমত, ব্যাটসম্যান রিভার্স সুইপ মারতে গেলে তাঁর স্টান্স বদল হয় বলে কিপারের পক্ষে বল ঠিক মতো দেখতে পাওয়া মুশকিল। তার উপর রিভার্স সুইপে ব্যাটসম্যান বলের গতিকে ব্যবহার করতে চান। তাই ব্যাটে লাগার পরে বলের গতি হঠাৎ করেই বেড়ে যায়।
পেসারদের বলে কিপার স্টাম্প থেকে বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকেন। তবে স্পিনারদের বলে কিপারকে দাঁড়াতে হয় স্টাম্পের ঠিক পিছনেই। সুতরাং, এত কম দূরত্বে ব্যাটের কানা ছোঁয়া বল ধরা কিপারের পক্ষে নিতান্ত কঠিন। রাঁচিতে সেই কঠিন কাজটিই অনায়াসে করে দেখান জুরেল। তাঁর এমন অনবদ্য কিপিংয়ের জন্যই রবিনসন ব্যক্তিগত ৫৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরতে বাধ্য হন।
রাঁচির ভারত বনাম ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলার লাইভ আপডেটে চোখ রাখতে ক্লিক করুন এখানে
রবিনসন আউট হতেই ধসে পড়ে ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ। ৩৪৭ রানে ইংল্যান্ডের আট নম্বর ব্যাটার হিসেবে আউট হন রবিনসন। ৩৫৩ রানে গুটিয়ে যায় ইল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যে, ম্যাচের সেই মুহূর্তে রবিনসনের উইকেটটি কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
রাঁচিতে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ৭ উইকেটে ৩০২ রান তুলে। তার পর থেকে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৫৩ রানে। জো রুট দুর্দান্ত শতরান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ১২২ রান করে নট-আউট থাকেন। ২৭৪ বলের অনবদ্য ইনিংসে রুট ১০টি বাউন্ডারি মারেন।
ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৩টি উইকেট দখল করেন আকাশ দীপ। ২টি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ এবং ১টি উইকেট দখল করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। উইকেট পাননি কুলদীপ যাদব।