২০১১ সালের পর ফের ভারতের মাটিতে বসছে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এর আগে ভারত বিশ্বকাপ আয়োজন করে থাকলেও প্রথমবার একক ভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করতে চলেছেন জয় শাহরা। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় বোর্ডের উপর একটা অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। ঠিক তেমনভাবেই ট্রফি জেতার চাপ রয়েছে রোহিত শর্মাদের উপর। দীর্ঘ ১০ বছর ভারতীয় ক্রিকেট কোনও আইসিসি ট্রফি পায়নি। ২০১৩ সালের পর থেকে ভারত বিভিন্ন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ফাইনালে পৌঁছে গেলেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হুসেন। তিনি মনে করেন ভারতীয় দলকে এই বিশ্বকাপে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে তাহলেই তারা জিততে পারবে।
শেষবার ২০১১ সালের মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্বকাপ হাতে তোলে ভারত। তারপর থেকে দুটি বিশ্বকাপ কেটে গেলেও ট্রফি পায়নি বিরাট কোহলিরা। বিরাট ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হলেও বর্তমান অধিনায়ক রোহিত সেই দলে ছিলেন না। অধিনায়ক হিসেবেও একটিও আইসিসি ট্রফি তিনি দিতে পারেননি এখনও পর্যন্ত। তাই ঘরের মাঠে ট্রফি জেতার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না ভারতীয় দলও। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট একথা স্বীকার করুক আর না করুক তাদের উপর একটা অদৃশ্য চাপ আছে তা বোঝাই যাচ্ছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হুসেন বলেন, 'বিশ্বকাপ জিততে গেলে ভারতকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। যে চাপ তাদের উপর থাকবে সেটা থেকে বেরিয়ে না আসতে পারলে জেতা কঠিন হয়ে যাবে। অতিরিক্ত চাপ কাটালেই তবেই বিশ্বকাপ পাবে তারা।'
২০১৩ সালের পর থেকে ভারত মোট আটবার বিভিন্ন টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের ম্যাচ খেলেছে, কিন্তু প্রতিটিতেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। পরপর দুইবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা। শেষবার একদিনের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাটরা।
এমনকী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনেকদূর পৌঁছে গিয়ে খালি হাতে আসতে হয় তাদের। ভারতীয় দল যে পুরোপুরি ব্যর্থ সেটাও বলা যাবে না। কারণ তারা শেষ পর্বের ম্যাচ পর্যন্ত পৌঁছতে পারছে। তবে ট্রফি আনতে পারছে না। এদিকে এই বছরের এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠেছে রোহিত শর্মার দল। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে তারা। এখন দেখার বিষয় এটাই বিশ্বকাপের আগে রোহিতরা এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন কিনা।