শুভব্রত মুখার্জি: আইপিএলের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে অন্যতম সফলতম দল চেন্নাই সুপার কিংস। তাদের ঝুলিতে পাঁচ পাঁচটি শিরোপা রয়েছে। পাশাপাশি নক আউট পর্বে যাওয়ার ধারাবাহিকতা তাদের অত্যন্ত ঈর্ষণীয়। আইপিএলে তাদের ইতিহাসে তারা খুব বেশি ম্যাচে একপেশে ভাবে হারেননি। তবে এই ঘটনার সাক্ষী তারা থাকলেন শুক্রবার রাতে। চলতি আইপিএলে লখনউতে একানা স্টেডিয়ামে ঘরের টিম লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে তাদেরকে হারতে হয়েছে ৮ উইকেটে। আর ম্যাচ হারের পরেই পাওয়ারপ্লের পর থেকে ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত সিএসকে ব্যাটারদের রানের গতিকে বাড়াতে না পেরে আটকে যাওয়া নিয়েই হতাশা ধরা পড়ল রুতুরাজের গলাতে।
ম্যাচ শেষে রুতুরাজ জানিয়েছেন, ‘আমরা ইনিংসটা খুব ভালো ভাবে শেষ করেছিলাম। যেভাবে আমরা শেষ করেছি তার থেকে আর কী বেশি আমি আশা করতে পারি! তবে পাওয়ারপ্লের পরে এদিন আমরা রানের গতি বাড়াতে পারিনি। আর এটা ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত একভাবে চলেছে। আমরা কিন্তু নিয়মিতভাবে এদিন উইকেট হারিয়েছি। আমাদের যা স্কোর করা উচিত ছিল তার থেকে ১০-১৫ রান আমরা কম করেছি। এই উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য কিছুটা কঠিন। তবে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটারের নিয়মটা থাকার কারণে একজন অতিরিক্ত ব্যাটারের প্রয়োজন। পরবর্তীতে শিশির পড়বে এটা জানতাম। সেটা মাথায় রেখে বলতে পারি ১৮০-১৯০ ছিল ভালো স্কোর।’
রুতুরাজ আরও জানিয়েছেন, ‘পাওয়ারপ্লেতে আমাদের বোলিং হল আরও একটি জায়গা যা আমরা বদলে ফেলতে চাইব। পাওয়ারপ্লেতে উইকেট নিতে পারলে তা বিপক্ষকে কিন্তু ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। ওদের সঙ্গে (লখনউ সুপার জায়ান্টস) খুব শীঘ্রই আমরা খেলতে পারব। এটা বেশ ভালো খবর। আমরা এবার হোম ওয়ার্ক করে আরও শক্তিশালী হয়ে নামব।’
এদিন প্রথমে ব্যাট করে সিএসকে ছয় উইকেটে ১৭৬ রান করে। ওপেনার হিসেবে ব্যাট করতে নেমে অজিঙ্কা রাহানে করেন ৩৬ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান রবীন্দ্র জাদেজার। তিনি ৪০ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে মইন আলি করেছেন ৩০ রান। এছাড়াও ইনিংসের শেষ দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি ঝড়ে ভর করে সিএসকের ১৭৫ রানের গন্ডি টপকে যায়। মাত্র ৯ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান ধোনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সুপার জায়ান্টসের দুই ওপেনার কেএল রাহুল এবং কুইন্টন ডি'কক এদিন ম্যাচটা চেন্নাইয়ের হাত থেকে বের করে নেন। প্রথম উইকেটে ওঠে ১৩৪ রান। ডি'কক ৫৪ রান করে আউট হন। কেএল রাহুল ৫৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।