রাজস্থান রয়্যালস দল আইপিএলের ১৭তম মরশুমে ২৪ মার্চ লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে নিজেদের অভিযান শুরু করবে। ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসন। তার অধিনায়কত্বে, তিনি ২০২২ সালে দলকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিল। সেবারের ফাইনাল ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল সঞ্জুর রাজস্থানকে। এই মরশুমে দলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছে রাজস্থান রয়্যালস। প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার এবং ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া সহ একাধিক বিশেষজ্ঞ আইপিএল ২০২৪ শুরুর আগে রাজস্থানের প্লেইং একাদশ নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
রাজস্থান রয়্যালস দল কি তিন স্পিনার নিয়ে মাঠে নামবে?
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে রাজস্থান রয়্যালস দল তাদের ঘরের মাঠ সওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে তিনজন স্পিনার নিয়ে নামতে পারে। গত বছর প্লে অফে উঠতে পারেনি সঞ্জু স্যামসনের দল। পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে ছিল তারা। তবে এরপরেও অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের উপরেই ভরসা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এ বারে আবারও সেরা পারফরমেন্স দিতে তৈরি রাজস্থান রয়্যালস। দলের পক্ষ থেকে রোভম্যান পাওয়েল, টম কোহলার ক্যাডমোর এবং নান্দ্রে বার্গারের মতো খেলোয়াড়দের আইপিএল ২০২৪ নিলামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিদেশি দলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন এই চারজন
বিশেষজ্ঞদের মতে, দল যদি কোনও বিদেশি বোলারের সঙ্গে যেতে চায় তবে ট্রেন্ট বোল্ট বা নান্দ্রে বার্গারের সঙ্গে যেতে পারে। এমন অবস্থায় তিন বিদেশি ব্যাটসম্যান মাঠে নামানোর সুযোগ পাবে রাজস্থান রয়্যালস। সেক্ষেত্রে তারা রোভম্যান পাওয়েল, শিমরন হেটমায়ার এবং জোস বাটলারকে মাঠে নামাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছ।
আবেশ খানের খেলা নিশ্চিত!
দল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার আকাশ চোপড়া বলেছেন, দলে দুই স্পিনার আছে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং যুজবেন্দ্র চাহাল। আবেশ খানকে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। এমন অবস্থায় তিনি দলে থাকবেন। দলে কুলদীপ সেন, নবদীপ সাইনি এবং সন্দীপ শর্মার মতো বিকল্প রয়েছে। চোপড়ার মতে, অ্যাডাম জাম্পা আরও ভালো বিকল্প হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে রাজস্থান রয়্যালস দল তিনজন স্পিনার নিয়ে মাঠে নামতে পারে।
রাজস্থান রয়্যালসের সম্ভাব্য প্লেয়িং একাদশ
যশস্বী জয়সওয়াল, জোস বাটলার, সঞ্জু স্যামসন (অধিনায়ক), রায়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেল (উইকেটরক্ষক), শিমরন হেটমায়ার, রোভম্যান পাওয়েল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, আবেশ খান, ট্রেন্ট বোল্ট।