লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে প্লে-অফের টিকিট হাতে পেলেও মণিপাল টাইগার্সকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারতে হয় আরবানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের বাধা টপকে ফাইনালে ওঠার পরে মণিপালের সামনে সুযোগ এসে যায় সেই হারের বদলা নেওয়ার। শেষমেশ লেজেন্ডস লিগের ফাইনালে সুরেশ রায়নার হায়দরাবাদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় হরভজন সিংয়ের মণিপাল।
সুরাটের খেতাবি লড়াইয়ে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আরবানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রিকি ক্লার্ক ও গুরকিরত সিং মনের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৭ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
ক্লার্ক ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন। গুরকিরত ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৬৪ রান করে আউট হন। এছাড়া ডোয়েন স্মিথ ২১ ও পিটার ট্রেগো ১৭ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি মার্টিন গাপ্তিল ও আসগর আফগান।
মণিপালের হয়ে ৪৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন পঙ্কজ সিং। ৩৬ রানে ১টি উইকেট নেন মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান। ৩২ রানে ১টি উইকেট নেন থিসারা পেরেরা। হরভজন ১ ওভারে ৮ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মণিপাল টাইগার্স ১৯ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৬ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে ট্রফি হাতে তোলে তারা। ওপেন করতে নেমে রবিন উথাপ্পা ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৪০ রান করেন। ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন আসেলা গুণরত্নে।
চাডউইক ওয়াল্টন ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ২৯ রান করেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ৩০ রান করেন অ্যাঞ্জেলো পেরেরা। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২৫ রান করেন থিসারা পেরেরা। অমিত বর্মা ৮ ও কলিন ডি'গ্র্যান্ডহোম ৬ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন।
হায়দরাবাদের হয়ে ২০ রানে ৩টি উইকেট নেন স্টুয়ার্ট বিনি। ১টি করে উইকেট দখল করেন জাকাতি ও টেলর। ম্যাচের সেরা হন গুণরত্নে। সাকুল্যে ১০৮ রান ও ৮টি উইকেট সংগ্রহ করে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন থিসারা পেরেরা।