নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে টিম সাউদির মতো অভিজ্ঞ বোলারকে অনায়াসে সামলাচ্ছেন অজি ব্যাটাররা। তবে ম্যাট হেনরির মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে একাই ৫টি উইকেট নেন হেনরি। তিনি দ্বিতীয় ইনিংস দখল করেন আরও ৩টি উইকেট। এবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফের অজি শিবিরে ধস নামান হেনরি।
প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮টি উইকেট নেওয়া হেনরি এবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বল হাতে আগুন ঝরালেন। তিনি একাই তুলে নিলেন ৭ উইকেট। অর্থাৎ, সিরিজের ৩টি ইনিংসে বল করে সাকুল্যে ১৫টি উইকেট পকেটে পোরেন কিউয়ি পেসার।
যদিও ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে প্রথম ইনিংসের নিরিখে প্রায় ১০০ রানের লিড পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। আসলে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতাই এক্ষেত্রে এগিয়ে রাখে অজিদের। না হলে নিউজিল্যান্ডের বোলিং মন্দ হয়নি মোটেও।
ক্রাইস্টচার্চে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৬২ রানে। পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দিনেই তুলে ফেলে ৪ উইকেটে ১২৪ রান। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২৫৬ রানে। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৯৪ রানে এগিয়ে থাকে অজিরা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাট হাতে লড়াকু ইনিংস খেলেন মার্নাস ল্যাবুশান। তিনিই দু'দলের ব্যাটিং পারফর্ম্যান্সে তফাৎ গড়ে দেন। যদিও নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন মার্নাস। ১২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪৭ বলে ৯০ রান করে আউট হয়ে বসেন ল্যাবুশান। অস্ট্রেলিয়ার আর কোনও ব্যাটার ৩০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি।
স্টিভ স্মিথ ১১, উসমান খোয়াজা ১৬, ক্যামেরন গ্রিন ২৫ ও ট্র্যাভিস হেড ২১ রান করে প্রথম দিনেই আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনে নাথান লিয়ন ২০, অ্যালেক্স ক্যারি ১৪, মিচেল স্টার্ক ২৮ ও প্যাট কামিন্স ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। খাতা খুলতে পারেননি মিচেল মার্শ। ১ রানে নট-আউট থাকেন জোশ হেজেলউড।
ম্যাট হেনরি ২৩ ওভার বল করে ৪টি মেডেন-সহ ৬৭ রানের বিনিময়ে ৭টি উইকেট নেন। ৫ ওভারে ১৪ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন গ্লেন ফিলিপস। অভিষেককারী বেন সিয়ার্স ১৬ ওভারে ৭১ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন। নিউজিল্যান্ডের ক্যাপ্টেন টিম সাউদি নিজের শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৮ ওভার বল করে ৬৮ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন।