শেষ ইনিংসে ব্যাট হাতে যথাসাধ্য লড়াই চালান কর্ণাটক দলনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তবে তাঁর একক লড়াই দলকে জয় এনে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। মণীশ পাণ্ডেরা ক্যাপ্টেনকে যথাযথ সঙ্গ দিতে না পারায় ম্যাচ হেরে এবারের মতো রঞ্জি ট্রফি থেকে বিদায় নিতে হয় কর্ণাটককে। কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াকু জয়ে রঞ্জির সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে করুণ নায়ার-উমেশ যাদবদের বিদর্ভ।
নাগপুরে বিদর্ভের বিরুদ্ধে শেষ আটের লড়াইয়ে টস জেতে কর্ণাটক। তারা শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় হোমটিমকে। বিদর্ভ তাদের প্রথম ইনিংসে ৪৬০ রান তোলে। অথর্ব টাইডে ১০৯ রান করেন। ২৪৪ বলের ইনিংসে তিনি ১৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। যশ রাঠোর ১৫৭ বলে ৯৩ রান করেন। তিনি ১২টি চার মারেন। ১৭৮ বলে ৯০ রান করেন করুণ নায়ার। তিনি ১৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। বিদ্বথ কাভেরাপ্পা ৪টি ও হার্দিক রাজ ২টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটক তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ২৮৬ রান। ২১২ বলে ৮২ রান করেন নিকিন জোস। তিনি ১১টি চার মারেন। ৯৭ বলে ৫৯ রান করেন রবিকুমার সামর্থ। তিনি ৭টি চার মারেন। খাতা খুলতে পারেননি মায়াঙ্ক আগরওয়াল। মণীশ পান্ডে ২৭ বলে ১৫ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ২টি চার মারেন। আদিত্য সারওয়াটে ও যশ ঠাকুর ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন উমেশ যাদব।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৭৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে বিদর্ভ। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ১৯৬ রানে। ধ্রুব শোরে ৯৮ বলে ৫৭ রান করেন। তিনি ৯টি চার মারেন। করুণ নায়ার করেন ৫৬ বলে ৩৪ রান। তিনি ৫টি চার মারেন। বিদ্বথ কাভেরাপ্পা ৬টি ও বিজয়কুমার বৈশাক ৪টি উইকেট দখল করেন।
জয়ের জন্য ৩৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে কর্ণাটক। তারা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১২৭ রানে ম্যাচ জেতে বিদর্ভ। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৯৮ বলে ৭০ রান করেন। তিনি ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। রবিকুমার সামর্থ ৪০, কেভি অবনীশ ৪০ ও মণীশ পান্ডে ১ রান করেন। আদিত্য সারওয়াটে ও হর্ষ দুবে ৪টি করে উইকেট নেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৫ রান ও ৭টি উইকেট সংগ্রহ করে ম্যাচের সেরা হন আদিত্য সারওয়াটে।