গত আইপিএলে বল হাতে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে নজর কাড়েন তুষার দেশপান্ডে। মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেও সিএসকের জার্সিতে আইপিএল মাতানোর পরেই স্পটলাইটে চলে আসেন তিনি। ব্যাটের হাত যে নিতান্ত ভালো, এমনটা বলা যাবে না মোটেও। ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ৩৪টি ম্যাচের ৪১টি ইনিংসে ব্যাট করে মোটে ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। তবে নিজের ৪২ নম্বর ফার্স্ট ক্লাস ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এমন অভাবনীয় কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন তুষার, এমনটা ভাবা সম্ভব ছিল না কারও পক্ষেই।
বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন তুষার দেশপান্ডে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনি দাপুটে শতরান করে মাঠ ছাড়েন। তুষার ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকে যান ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১১২ বলে। দেশপান্ডে শেষ পর্যন্ত ১০টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ১২৯ বলে ১২৩ রান করে আউট হন।
এগারো নম্বরে ব্যাট করতে নেমে এমন দাপুটে শতরান করার পথে রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে সর্বকালীন একটি রেকর্ড গড়ে বসেন তুষার। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সব থেকে বেশি রানের ব্যক্তিগত ইনিংস গড়েন দেশপান্ডে। তিনি ভেঙে দেন তামিলনাড়ুর বিদ্যুৎ শিবরামকৃষ্ণণের ২৩ বছর আগের রেকর্ড।
২০০১ সালে চেন্নাইয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সেই নজির গড়েছিলেন বিদ্যুৎ। প্রথম ইনিংসে ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনি ১৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১২২ বলে ১১৫ রান করে আউট হন। বরোদার বিরুদ্ধে তুষার দেশপান্ডে ১২৩ রান করে পিছনে ফেলে দেন বিদ্যুৎকে।
তুষার ছাড়াও বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি কোয়ার্টারের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন মুম্বইয়ের ১০ নম্বর ব্যাটার তনুষ কোটিয়ান। তিনি ১০টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১২৯ বলে ১২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে এই প্রথম একই ইনিংসে কোনও দলের ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেও। সুতরাং, টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটিও একটি সর্বকালীন রেকর্ড।
তনুষ ও তুষার মুম্বইয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ উইকেটের জুটিতে যোগ করেন ২৩২ রান। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে এটি শেষ উইকেটের জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তোলার নজির।