ICC T20 World Cup-পরীক্ষিত সৈনিকেই ভরসা, বিশ্বকাপে জায়গা হচ্ছে না রিয়ান, মায়াঙ্কদের

টি২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা হচ্ছে না মায়াঙ্ক যাদব, রিয়ান পরাগদের। তারুণ্য নয়, বরং অভিজ্ঞতাতেই ভরসা করতে চলেছে নির্বাচকরা। টি২০ বিশ্বকাপের পর জিম্বাবোয়ে সিরিজে তাঁদের দলে নেওয়া হতে পারে, সুত্রের খবর

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ব্যাট হাতে রিয়ান পরাগ।ছবি- এএফপি (AFP)

আইপিএলে নজর কাড়লেও টি২০ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ পাচ্ছেন না রিয়ান পরাগ, মায়াঙ্ক যাদবরা। চলতি সপ্তাহেই আইপিএলের মাঝে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে টি২০ বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচকরা। অজিত আগরকর দিল্লিতে কথা বলবেন রোহিতের সঙ্গে, এরপরই নির্বাচক কমিটির সকল সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে বসে জানাবেন চূড়ান্ত দল। ১ মের মধ্যেই দল ঘোষণা করতে হবে। ৫জুন টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ ভারতের, প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড।

এবারই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অখ্যাত স্টেডিয়ামে বসছে বিশ্বকাপের মতো বড় আসর। খুব স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার পিচ নিয়ে বেজায় চিন্তায় রয়েছে দলগুলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ স্লো হয়। সেখানে পেসাররা খুব বেশি বাউন্স বা সুইং পাননা, কিন্তু মার্কিন মুলুকে তো অধিকাংশ পিচই ড্রপ ইন উইকেট। অর্থাৎ তৈরি করা পিচ এনে বসিয়ে পরিচর্যা করা উইকেট। সেখানে উইকেটের আচরণ কেমন হবে তা ক্রিকেটাররাই বুঝতে পারছে না, সেখানে নির্বাচকরা আর কী বুঝবেন। তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে পরীক্ষিত খেলোয়াড়দেরই টি২০ বিশ্বকাপের টিকিট দিতে চলেছে বিসিসিআই। সেখানে অনভিজ্ঞতার কারণেই স্কোয়াডে সুযোগ পাচ্ছেন না মায়াঙ্ক,রিয়ান, অভিষেকরা। বরং টি২০ বিশ্বকাপের পর জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে সিরিজে তাঁদের সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে সুত্রের খবর।

অবশ্য মায়াঙ্ক যাদব, হর্ষিত রানার মতো আইপিএলে ভালো বোলিং করা পেসাররা বিশ্বকাপের স্কোয়াডে না থাকলেও যেতে পারেন মার্কিন মুলুকে। সেক্ষেত্রে নেট বোলার হিসেবে তাঁরা থাকতে পারেন দলের সঙ্গে। মায়াঙ্কের গতি আছে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইকেটে যদি গতি লক্ষ্য করা যায়, সেক্ষেত্রে মায়াঙ্কের বল নেটে খেললে প্রস্তুতি ভালোই হবে ব্যাটারদের, সেই কারণে তাঁদের নেট বোলার হিসেবে নিয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।

এবারের আইপিএলে রিয়ান পরাগ ৩১৮ রান করেছেন। সর্বোচ্চ রানের দৌড়ে রয়েছেন এই অলরাউন্ডার। হায়দরবাদের অভিষেক শর্মাও দেদার শাসন করছেন ওপেনিংয়ে এসে। বিদেশী বোলাররাও ছাড় পারছেন না। কিন্তু ভারতের উইকেট অনেকটাই ফ্ল্যাট। বিদেশে উইকেট কেমন হবে, তাঁছাড়া স্টার্ক , কামিন্স বা বোল্টরা আইপিএলে যে গুরুত্ব দিয়ে বোলিং করছেন, টি২০ বিশ্বকাপে তাঁর থেকে অনেক সিরিয়াস থাকবেন। সেসব ভেবেই অভিজ্ঞতার ওপরই ভরসা রাখতে পারে নির্বাচকরা। সেক্ষেত্রে জিম্বাবোয়ে সিরিজে তাঁদের খেলিয়ে দেখে নেওয়া হবে। এছাড়াও তাঁদের বিশ্বকাপের দলে ঠাই না পাওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ ভারতীয় দলের এই মূহূর্তের রিজার্ভ বেঞ্চ। 

চারজন উইকেটরক্ষক রয়েছেন টি২০ বিশ্বকাপে নির্বাচকদের হাতে,ফার্স্ট ডাউনে খেলার জন্য বিরাট, শ্রেয়স, সঞ্জ এবং সূর্যকুমার যাদব রয়েছে। লোয়ার অর্ডারে হার্দিক, জাদেজা, রিঙ্কু। ওপেনিংয়ে গিল, যশস্বী, রোহিত শর্মা। এত বেশি হাতে বিকল্প থাকায় কাজটা বরং কঠিনই হয়ে গেছে কমিটির, যে কাকে ছেড়ে কাকে নেবেন। এই পরিস্থিতিতে তাই নিজেদের আর বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছেন না তাঁরা।