চলতি মরশুমের সব থেকে বেশি রানের ওভার করলেন এনরিখ নরকিয়া। ইনিংসের শেষ ওভারে ও নিজের শেষ ওভারে তিনি হজম করলেন ৩২ রান। আর যেই ক্রিকেটার তাঁর বিরুদ্ধে ব্য়াটিং ঝড় তুললেন তিনি হলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রোমারিও শেফার্ড। এই ওভারে তিনি চারটি ছক্কা ও দুটি চার হাঁকালেন। এদিনের ইনিংসে তিনি মাত্র ১০ বল খেলে করলেন অপরাজিত ৩৯ রান। শেফার্ডের ইনিংসের দৌলতে পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে মুম্বই তুলল ২৩৪ রান।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংসের শুরুটা কেমন ছিল?
চলতি আইপিএলের ২০তম ম্যাচটি আজ মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুকি হয়েছে ঋষভ পন্তের দিল্লি ক্যাপিটালস। রবিবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শুরুটা ছিল বেশ বিস্ফোরক। পাওয়ারপ্লেতে মুম্বই কোনও উইকেট না হারিয়ে ৭৫ রান করেছিল। ৮০ রানের স্কোরে দলের প্রথম উইকেটের পতন হয়। মাত্র এক রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন রোহিত শর্মা। তিনি ৪৯ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হন।
আরও পড়ুন… CAB: সকলের অজান্তেই হয়ে গেল বড় ভুল! স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে গেল বাংলা ক্রিকেটের চার কোচ
কেমন খেললেন সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়ারা?
এর পর প্রত্যাবর্তন করা সূর্যকুমার যাদব খাতা না খুলেই নরকিয়ার শিকার হন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে চার নম্বরে নামেন ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি ইশানের সঙ্গে মিশন রেসকিউ শুরু করেন। কিন্তু অক্ষরের বলে খুব সহজে ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে ফিরে যান ইশান কিষান। দুর্দান্ত ৪২ রান করেন ইশান। চতুর্থ উইকেটে খলিল আহমেদের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দেন তিলক বর্মা। এরপর ব্যাট করতে মাঠে নামেন টিম ডেভিড।
রোমারিও শেফার্ডের ঝড়ে শেষ পর্যন্ত কত তুললো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স?
পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক হার্দিকের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে সমস্যা থেকে উদ্ধার করেন ডেভিড। এ সময় দুই ব্যাটসম্যানই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। বিশেষ করে টিম ডেভিড লম্বা ছক্কা মারেন। কিন্তু ৩৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। এরপর ব্যাট করতে নামেন রোমারিও শেফার্ড। টিম ডেভিডের সঙ্গে রোমারিও শেফার্ড বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। তাঁর এই ইনিংসের কারণে বড় স্কোর তোলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ম্যাচটি জিততে হলে করতে হবে ২৩৫ রান।