গুজরাট টাইটানসকে যখন সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিতেন, হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে ধন্য ধন্য রব উঠত। যদিও ক্যাপ্টেন হয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দেওয়ার পরে ছবিটা বদলে গিয়েছে পুরোপুরি। হার্দিকের নেতৃত্বে চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত শুধুই ব্যর্থতার মুখ দেখেছে মুম্বই। তারা নিজেদের প্রথম ৩ ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ছে ক্যাপ্টেন পান্ডিয়ার উপরে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে বিদ্রুপ ও সমালোচনার বহর।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রথম ম্যাচ থেকেই হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে সমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন ইরফান পাঠান। সোমবার ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় পান্ডিয়াকে তুলোধনা করেন ইরফান।
শুধু ক্যাপ্টেন্সিই নয়, বরং হার্দিকের ব্যাটিংয়েও খুশি নন ইরফান। রাজস্থানের বিরুদ্ধে টস হেরে মুম্বই শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। তিলক বর্মার সঙ্গে জুটি বেধে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্যাপ্টেন পান্ডিয়া। তবে ইনিংসের দশম ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালকে উইকেট দিয়ে মাঠ ছাড়েন হার্দিক। ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ বলে ৩৪ রান করে আউট হন হার্দিক।
ইরফানের দাবি, পান্ডিয়া যখন সেট হয়ে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর উচিত ছিল দলকে টেনে নিয়ে যাওয়া। পাঠান একটি টুইটে লেখেন, ‘যাঁরা খেলাটা বোঝেন, তাঁরা জানেন যে, যদি আপনি সেট হয়ে যান, তবে দলকে টেনে নিয়ে যেতে হবে।’ অর্থাৎ, পান্ডিয়ার ওভাবে আউট হওয়া মেনে নিতে পারেননি ইরফান। বাস্তবিকই পান্ডিয়া আরও কিছুক্ষণ ক্রিজে থাকলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দেড়শো রানের কাছে পৌঁছে যেত। তার বদলে তারা ৯ উইকেটে ১২৫ রানে আটকে যায়।
পরক্ষণেই পান্ডিয়ার নেতৃত্বের সমালোচনা করেন ইরফান। প্রথম ২ ম্যাচে মুম্বই জসপ্রীত বুমরাহকে দিয়ে বোলিং শুরু করায়নি। হার্দিক নিজেই নতুন বলে দৌড় শুরু করেন। তবে রাজস্থান ম্যাচে হাতে পুঁজি না থাকায় বুমরাহকে শুরুতে বল করতে পাঠানো ছাড়া উপায় ছিল না মুম্বইয়ের সামনে।
ইরফান অন্য একটি টুইটে লেখেন, ‘নিজের সেরা বোলারকে শুরুতেই আক্রমণে আনার জন্য রকেট সায়েন্সের দরকার হয় না। অবশেষে বুমরাহর হাতে নতুন বল তুলে দেওয়া হয়। যদিও এটা বাধ্য হয়েই করতে হয়। কেননা রাজস্থানকে ছোট টার্গেট তাড়া করতে হচ্ছিল।’
পাঠান এখানেই না থেমে আরও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন পান্ডিয়াকে। তিনি দাবি করেন যে, ক্যাপ্টেন হিসেবে হার্দিক সতীর্থদের সম্মান আদায় করতে পারেননি। একটি টুইটে পাঠান লেখেন, ‘আপনি সব সময় চাইবেন যে কঠিন কাজটা আপনার লিডার করবে। যদি তিনি সেটা না করেন, তবে দলের সম্মান আদায় করতে পারবেন না।’