মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অধিনায়কত্ব করা বেশ কষ্টসাধ্য কাজ ছিল, আগেই জানিয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। এবার রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টসে মাহির সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, তা জানালেন অলরাউন্ডার ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। পুণে সুপার জায়ান্টসের হয়ে ২০১৭ আইপিএলে খেলেছিলেন তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে। স্বদেশী সতীর্থ স্টিভ স্মিথের সুরেই সুর মিলিয়ে ক্রিশ্চিয়ান বলছেন, ধোনি নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতেন। অনেক সময় কোচ অধিনায়ককে না জানিয়েই ব্যাট করতে নেমে জেতেন তিনি।, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তিনি।
এক পডকাস্টে মাহির সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ড্যান বলেছেন, ‘১২-১৩ ওভার নাগাদ যদি দলের কোনও উইকেট পড়ত তখন আমি বা স্টোকস তৈরি থাকতাম মাঠে নামার জন্য। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি উঠে দাঁড়িয়ে প্যাড, গ্লাভস হাতে নিজেই হাঁটা দিতেন মাঠের দিকে। কোচ বা অধিনায়ক, কাউকেই কিছু বলতেন না। স্মিথ এবং ফ্লেমিংও কিছুই বলতে পারতে না’।
ফিক্সিংকাণ্ডে নাম জড়িয়ে চেন্নাই সুপার কিংস দুবছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিল। সেই সময়, ২০১৬ সালে পুণের দলের অধিনায়ক বেছে নেওয়া হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনিকেই। কিন্তু দলের খারাপ পারফরমেন্সের জেরে পরের বছরই তাঁকে অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে। অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অবাক হয়েছিলেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন স্মিথ। কারণ বিশ্বকাপজয়ী একজন অধিনায়ক, যিনি আইসিসির সমস্ত ট্রফি জিতেছেন, আইপিএল জিতেছেন। তাঁকে নেতৃত্ব দেওয়ার কাজটা তো কঠিনই। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে বলায় তিনি আর কথা না বাড়িয়ে রাজি হয়ে গেছিলেন।
আরও পড়ুন-IPL 2024-সাদা বলে সেরা ওপেনার বাটলার বললেন সাঙ্গাকারা, রোহিতকে উপেক্ষা?
স্টিভ স্মিথ সম্প্রতি বলেছেন, ‘মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো ছিল, কিন্তু একই সঙ্গে তাঁকে সামলানোর কাজটা দুঃসাধ্য ছিল'। স্মিথ অবশ্য পরে বলেছেন, তার আর ধোনির মধ্যে সমস্যা কখনই ছিল না। ছোটখাটো বিষয়গুলো মিটে যেতেই মাহি তাঁকে প্রচুর সাহায্য করেছেন সেই মরসুমে’।
আরও পড়ুন-ব্যাজবল নিয়ে লাফালেই হবে না, কমন সেন্স ব্যবহার করতেও হবে, বার্তা বয়কটের
স্মিথ বলেছেন,‘উইকেটে পিছন থেকে মাহি সব থেকে ভালো বুঝতে পারেন ঠিক কি হচ্ছে। তাই দরকার লাগলেই চলে যেতাম ধোনির কাছে। আর ভারতের পরিবেশ, উইকেটে কখন কি করা উচিৎ, সেটাও ওর(ধোনির) থেকে ভালো কেই বা জানে। কিভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়, সেটা আমি ওর(ধোনির) থেকে শিখেছি। অনেক সময় বিতর্কের মাঝেও উত্তেজিত না হয়ে, ধৈর্য ধরতে আর মাথা ঠান্ডা রাখতে শিখেছি। তাই ধোনির সঙ্গে কাজ করতে খুবই ভালো লেগেছিল। সেই বছর আমরা সাফল্য পেয়েছিলাম, এমএসডি সাহায্য করেছিল বলেই’।