ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরে বসে বাংলাদেশ। তবে দাপুটে জয় দিয়ে পরবর্তী ওয়ান ডে সিরিজ শুরু করে তারা। বাংলাদেশের জয়ে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলনায়ককে যথাযোগ্য সঙ্গত করেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তারা ৪৮.৫ ওভারে ২৫৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন কুশল মেন্ডিসের পাশাপাশি হাফ-সেঞ্চুরি করেন জনিথ লিয়ানাগে। বড় রানের ইঙ্গিত দিয়েও থেমে যায় পাথুম নিশঙ্কা ও আবিষ্কা ফার্নান্ডোর ব্যাট।
কুশল মেন্ডিস ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭৫ বলে ৫৯ রান করে আউট হন। ৬৯ বলে ৬৭ রান করেন লিয়ানাগে। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। নিশঙ্কা ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৩৩ বলে ৩৩ রান করেন ফার্নান্ডো। তিনিও ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
সাদিরা সমরাবিক্রমে ৩, চরিথ আসালঙ্কা ১৮, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৩, মাহিশ থিকশানা ১, প্রমোদ মদুশান ৮ ও লাহিরু কুমারা ৫ রানের যোগদান রাখেন। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, তাস্কিন আহমেদ ও তানজিম হাসান শাকিব। ১টি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। উইকেট পাননি তাইজুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৪৪.৪ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৩২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। সেই সুবাদে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নেয় তারা।
ক্যাপ্টেন নাজমুল দুর্দান্ত শতরান করেন। তিনি ১২৯ বলে ১২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ জেতানো ইনিংসে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ব্যক্তিগত ৭৩ রানে। ৮৪ বলের ইনিংসে তিনি ৮টি চার মারেন।
মাহমুদুল্লাহ ৩৭ বলে ৩৭ রান করে আউট হন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। খাতা খুলতে পারেননি লিটন দাস। ৩ রান করে আউট হন সৌম্য সরকার। তৌহিদ হৃদয়ও ব্যক্তিগত ৩ রানে সাজঘরে ফেরেন। শ্রীলঙ্কার দিলশান মদুশঙ্কা ২টি এবং প্রমোদ মদুশান ও লাহিরু কুমারা ১টি করে উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা হন শান্ত।