শুভব্রত মুখার্জি: দীর্ঘ দিন বাংলাদেশ সিনিয়র পুরুষ ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার নাসির হোসেন। একটা সময়ে শাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের সঙ্গে একসঙ্গে নিয়মিত জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন নাসির হোসেন। সেই নাসির এবার বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লেন। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে দুই বছরের জন্য সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করল আইসিসি। ফলে কার্যত নাসিরের জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের সমস্ত আশা এখানেই শেষ হয়ে গেল বলা চলে। কী কারণে এমনটা ঘটল? আসুন সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: শেষ ওভারে ম্যাথিউজকে ঠেঙিয়ে ২৪রান নিল জিম্বাবোয়ে, ৪ উইকেটে রোমহর্ষক জয় সিকান্দার রাজার দলের
কয়েক মাস আগেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের তদন্তও শেষ হয়েছে সম্প্রতি। যার পরেই জানা গিয়েছে, নাসিরের দুর্নীতি যোগ। এর পরেই নাসির হোসেনকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। পাশাপাশি এই সাজার ক্ষেত্রে ৬ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশও পেয়েছেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিবিরোধী কোড ভঙ্গের তিনটি অভিযোগ উঠেছিল শাকিবের প্রাক্তন সতীর্থের বিরুদ্ধে, যা নাসির মেনে নিয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে আইসিসির তরফে।
আরও পড়ুন: এমন কোন গুণ ধোনি, কোহলি, সচিনের নেই কিন্তু তাঁর আছে, নিজের মুখেই জানালেন সৌরভ
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে টি-১০ লিগে অংশ নিয়েছিলেন নাসির । সেখানে সন্দেহভাজন ব্যক্তির থেকে উপহার নিয়েছিলেন তিনি। এই অভিযোগ পরে প্রমাণিত হয়েছে। নাসিরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে জানানো হয়েছিল, ২.৪.৩ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেওয়ার বিষয়ে কোনও রকম কোনও তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন নাসির। পাশাপাশি ২.৪.৪ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ গড়াপেটার কোনও প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কিনা, কোনও ভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা, তা নিয়েও পরিষ্কার তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। তদন্তে সহযোগিতা করতেও নারাজ ছিলেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগে নাসিরের সঙ্গে অভিযুক্ত হন ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ এবং সালিয়া সামানও। এছাড়াও কৃষ্ণা কুমার চৌধুরী, যিনি একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার অংশীদার, তিনিও অভিযুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি আর এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক পরাগ সাঙ্ঘভি, ব্যাটিং কোচ জায়েদি, সহকারী কোচ সানি ধিঁলন, সহকারী কোচ এবং টিম ম্যানেজার শাদাব আহমেদ ৃও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। উল্লেখ্য নাসির টাইগারদের হয়ে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৮ সালে।