বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > PAK vs AFG: ফিরল এশিয়া কাপের স্মৃতি, ফের শেষ ওভারে ফারুকিকে পিটিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতালেন নাসিম

PAK vs AFG: ফিরল এশিয়া কাপের স্মৃতি, ফের শেষ ওভারে ফারুকিকে পিটিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতালেন নাসিম

শেষ ওভারে পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়ে উচ্ছ্বসিত নাসিম। ছবি- এএফপি।

Pakistan vs Afghanistan 2nd ODI: রেকর্ড রানের ইনিংস গড়েন রহমানউল্লাহ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্কোরবোর্ডে সব থেকে বেশি রান তুলেও ম্যাচ জিততে পারল না আফগানিস্তান।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস গড়েও জিততে পারল না আফগানিস্তান। শেষ ওভারের থ্রিলারে হার মানল তারা। শাদবকে নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে রান-আউট করেও শেষ ওভারে ম্যাচ জেতাতে পারলেন না ফজলহক ফারুকি। ফের নাসিম শাহর কাছে মার খেয়ে আফগানিস্তানকে ম্যাচ হারালেন তিনি।

২০২২ সালের এশিয়া কাপে শেষ ওভারে ফারুকিকে একজোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন নাসিম। বৃহস্পতিবার হাম্বান্তোতায় ফারুকির শেষ ওভারে একজোড়া চার মেরে পাকিস্তানকে জয় এনে দিলেন নাসিম।

হাম্বান্তোতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩০০ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। ওপেন করতে নেমে রহমানউল্লাহ গুরবাজ একাই টপকান দেড়শো রানের গণ্ডি। ওয়ান ডে তথা আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলে আফগান ওপেনার দলকে বড় রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।

রহমানউল্লাহ ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১২২ বলে। সাহায্য নেন ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার। শেষমেশ ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৫১ বলে ১৫১ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন গুরবাজ।

আরও পড়ুন:- World Cup 2023 Ticket: পকেটে মাস্টারকার্ড থাকলে আজই কেটে ফেলুন বিশ্বকাপের টিকিট, বাকিরা কবে সুযোগ পাবেন?

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই প্রথম আফগানিস্তানের কোনও ব্যাটার ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। এর আগে আফগানিস্তানের হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি রানের ওয়ান ডে ইনিংস ছিল হাশমতউল্লাহ শাহিদির। তিনি ২০১৮ সালে আবু ধাবিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আফগানিস্তান এই প্রথম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৩০০ রানের গণ্ডি ছোঁয়। অর্থাৎ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের সর্বোচ্চ দলগত ইনিংসের রেকর্ড গড়ে আফগানিস্তান। গুরবাজের শতরান ছাড়া ইব্রাহিম জাদরান ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০১ বলে ৮০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন।

মহম্মদ নবি ২৯, রশিদ খান ২, শাহিদউল্লাহ ১, হাশমতউল্লাহ শাহিদি অপরাজিত ১৫ ও আবদুল রহমান অপরাজিত ৪ রান করেন। শাহিন আফ্রিদি ২টি, নাসিম শাহ ১টি ও উসামা মীর ১টি উইকেট দখল করেন।

আরও পড়ুন:- T10 ক্রিকেটে বিরল ঘটনা, দুই ক্যাপ্টেন আউট ইনিংসের প্রথম বলে, ইউসুফ পাঠান ব্যর্থ হতেই ৯ ওভারে বান্ডিল গম্ভীররা

পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ম্যাচের একেবারে শেষ ওভারে জয় তুলে নেয়। তারা ৪৯.৫ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ের সুবাদে পাকিস্তান এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে।

পাকিস্তানের হয়ে ওপেন করতে নেমে নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন ইমাম উল হক। তিনি ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৫ বলে দলের হয়ে সব থেক বেশি ৯১ রান করে আউট হন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সিরিজের প্রথম ম্যাচেও পাকিস্তানের হয়ে সব থেকে বেশি ৬১ রান করেন ইমাম।

এছাড়া লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন ক্যাপ্টেন বাবর আজম। তিনি ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৬ বলে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ফখর জামান ৩০, মহম্মদ রিজওয়ান ২, আঘা সলমন ১৪, ইফতিকার আহমেদ ১৭ ও শাহিন আফ্রিদি ৪ রান করে আউট হন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৪৮ রান করে মানকাডিংয়ের শিকার হন শাদব খান। নাসিম ৫ বলে ১০ রান করে নট-আউট থাকেন।

ফজলহক ফারুকি ৩টি ও মহম্মদ নবি ২টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন আবদুল রহমান ও মুজিব উর রহমান। ১০ ওভারে ৫৩ রান খরচ করেও উইকেট পাননি রশিদ খান। খাদের কিনারা থেকে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া শাদব খান ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন।

রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড বিস্তারিত ক্রীড়াসূচি - এর জন্য চোখুন HT Bangla - তে

বন্ধ করুন