প্রথম সারির ক্রিকেট ম্যাচে উভয় দলের ক্যাপ্টেনের শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা কদাচিৎই দেখা যায়। তবে ইউএস টি-১০ মাস্টার্সে যেমনটা ঘটল, তেমন ঘটনা আগে কখনও চোখে পড়েছে কিনা সন্দেহ। দুই ক্যাপ্টেন নিজ নিজ দলের হয়ে ওপেন করতে নামেন। দু'জনেই গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন। অর্থাৎ ১ বলে শূন্য রান করেন উভয় দলের অধিনায়ক। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, উভয় ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হন ক্যাপ্টেনরা।
ফ্লোরিডায় ইউএস টি-১০ মাস্টার্সের ১৫তম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে আটলান্টা রাইডার্স ও নিউ জার্সি ট্রাইটনস। আটলান্টাকে নেতৃত্ব দেন রবিন উথাপ্পা। নিউ জার্সির ক্যাপ্টেন গৌতম গম্ভীর। আটলান্টার হয়ে ওপেন করতে নেমে প্রথম ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হন উথাপ্পা। নিউ জার্সির হয়ে ওপেন করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন গম্ভীর।
দুই ইনিংসের অদ্ভুত মিল:-
১. দুই ক্যাপ্টেন নিজ নিজ দলের হয়ে ওপেন করতে নামেন।
২. দুই ক্যাপ্টেনই এক বলে শূন্য রানে আউট হন।
৩. দুই ক্যাপ্টেনই ইনিংসের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন।
৪. এক্ষেত্রে দুই ক্যাপ্টেনই হলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকা।
আরও পড়ুন:- IND vs IRE: সিরিজের আবিষ্কার রিঙ্কু, ১১ জন ভারতীয় কেমন খেললেন
আটলান্টা বনাম নিউ জার্সি ম্যাচের ফলাফল:-
ইউসুফ পাঠানের ব্যাট চললে নিউ জার্সিকে জয় নিয়ে বিশেষ ভাবতে হয় না। তবে পাঠান পরিচিত ছন্দে ধরা না দিলেই চাপে পড়ে তারা। আটলান্টার বিরুদ্ধে ইউসুফ দলের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেন বটে, তবে সেটা কার্যত ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ারই সামিল। নিউ জার্সি ভয়ানক ব্যাটিং ভরাডুবির মাশুল দিয়ে ম্যাচ হারে আটলান্টার কাছে।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আটলান্টা। তারা নির্ধারিত ১০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১০১ রান তোলে। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ৪৩ রান করেন। ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ৩৮ রান করেন হাম্মাদ আজম। নিউ জার্সির পিটার ট্রেগো ২টি উইকেট নেন। আরপি সিং ২ ওভারে ২০ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউ জার্সি ৯ ওভারে মাত্র ৫৩ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায়। অর্থাৎ, ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে উথাপ্পার আটলান্টা। ইউসুফ পাঠান ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ১৮ রান করেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ১১ রান করেন ক্রিস বার্নওয়েল। ২টি করে উইকেট নেন আটলান্টার কামরুল ইসলাম, হরমিত সিং, মহম্মদ ইরফান, ইলিয়াস সানি ও রায়াদ এমরিত। ম্যাচের সেরা হন মাসাকাদজা।