শুভব্রত মুখার্জি:- চলতি পাকিস্তান সুপার লিগ অর্থাৎ পিএসএলের ১৬তম ম্যাচে এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী থাকল দর্শকরা। করাচিতে এই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল করাচি কিংস এবং কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স। আর টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে একেবারে শেষ বলে বাজিমাত করল কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স। পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতল তারা।
ব্যাট হাতে দুরন্ত ইনিংস খেললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে স্বভাবের অলরাউন্ড ক্রিকেটার শেরফান রাদারফোর্ড। ফলে পিএসএলের নবম মরশুমে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক স্টেডিয়াম করাচিতে শেষ বলে অনবদ্য এক জয় ছিনিয়ে নিল কোয়েট্টা। কয়েকদিন আগেই ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম পেশোয়ার জালমির শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের সাক্ষী ছিলেন পিএসএলের দর্শকরা। এদিন ফের একবার সেই একধরনের উত্তেজনার সাক্ষী থাকল তারা।
রান তাড়া করতে নেমে একটা সময়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স। তাদের প্রথম পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল মাত্র ৮৯ রানে। এই সময়ে উইকেটে জুটি বাঁধলেন দুই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার আকিল হুসেন এবং শেরফান রাদারফোর্ড। জুটিতে তাঁরা ৮০ রান যোগ করেন। অবিচ্ছেদ্য এই জুটিতেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় কোয়েট্টা।
শেরফান রাদারফোর্ড মাত্র ৩১ বলে ৫৮ রানের একটি অপরাজিত ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন। তাঁর ইনিংসে তিনি হাঁকিয়েছেন ছয়টি ছয় এবং মাত্র একটি চার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন আকিল। তিনি ১৭ বল খেলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। এই জুটির হাত ধরেই শেষ বলে একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় ছিনিয়ে নেয় কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
প্রসঙ্গত চলতি মরশুমে এটি কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের চতুর্থ জয়। আর অন্যদিকে এটি করাচি কিংসের শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিন নম্বর হার। কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেন সউদ শাকিল এবং জেসন রয়। প্রথম উইকেট জুটিতে তাঁরা করেন ৫৭ রান।
এরপরেই তাদের ব্যাটিং লাইন আপে মিনি ধস নামে। যা সামাল দেয় রাদারফোর্ড-আকিল জুটি। হঠাৎ করেই ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটেছিল রিলি রসউয়ের দলের। জেসন রয় এদিন ৫২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। অন্যদিকে রাদারফোর্ড করাচি বোলারদের কাউন্টার অ্যাটাক করার সিদ্ধান্ত নেন। শেষ ওভারে তিনি আনোয়ার আলির বিরুদ্ধে ১৫ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এদিন টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে করাচি। জেমস ভিন্স (৩৭), টিম সেফার্ত (২১), মহম্মদ নওয়াজ (২৮) এদিন দলের হয়ে বলার মতন রান পেলেও আর কোনও ব্যাটারের ব্যাটিংয়ে সেই তাগিদ চোখে পড়েনি। কোয়েট্টার হয়ে আবরার আহমেদ তিনটি এবং দুটি করে উইকেট নেন আকিল হুসেন এবং উসমান তারিক। তবে করাচির বোলাররা এই রান ডিফেন্ড করতে পারেননি।