বিজয় হাজারে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে একেবারে আগুনে মেজাজে ছিল রাজস্থান। কেরালাকে একেবারে ২০০ রানে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠল দীপক হুডার দল। ১৬ বছর পর বিজয় হাজারে ট্রফির সেমিফাইনালে উঠল রাজস্থান। ২০০৭ সালে বিজয় হাজারেতে রানার্স আপ হয়েছিল রাজস্থান।
কেরালার আগের ম্যাচগুলির ফলাফলের দিকে তাকালে, কঠিন লড়াইয়ের প্রত্যাশা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজস্থানের ২৬৮ রানের লক্ষ্যের সামনে দেড় ঘণ্টাও দাঁড়াতে পারেনি কেরলের ব্যাটসম্যানরা। সৌরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রাজস্থান প্রথমে ২৬৭ রান করে। এর পর মাত্র ৬৭ রানে গুটিয়ে যায় কেরালার ইনিংস। ২০০ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল রাজস্থান।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল রাজস্থান। ৪৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল রাজস্থান। অভিজিৎ তোমার ১৫ (২৭ বলে), এবং রাম চৌহান ১৮ (৩১ বলে) করে ১০ ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরে গেল বড় ধাক্কা খায় রাজস্থান। আঁখি সাথের দশম ওভারেই এই ২ উইকেট তুলে নেন। তবে এর পর হাল ধরেন মাহিপাল লোমরো। তবে দলের অধিনায়ক দীপক হুডা (৩৪ বলে ১৩ রান) এবং করণ লাম্বারা (২৪ বলে ৯ রান) বেশীক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। তবে পঞ্চম উইকেটে কুণাল সিং রাঠোর সঙ্গ দেন মাহিপালকে। কুণাল অবশ্য ২টি ছক্কা এবং ৭টি চারের হাত ধরে ৫২ বলে ৬৬ করে আউট হয়ে যান। কিন্তু মাহিপাল ১১৪ বলে অপরাজিত ১২২ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। তাঁ এই ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি করে চার এবং ছক্কায়। এর পরে বাকিরা এক অঙ্কেই আটকে গিয়েছেন।
নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রান করে রাজস্থান। কেরলের হয়ে একাই তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন আঁখি সাথের। বেসিল থামপি নিয়েছেন ২ উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি কেরল। তাদের ব্যাটিং লাইনআপ পুরো তাসের ঘরের মতোই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। মাত্র ৬৭ রানেই হয়ে যায় খেল খতম। সর্বোচ্চ ২৮ রান (৩৯ বলে) করেন সচিন বেবি। এছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান কেরলের অধিনায়ক রোহন কুন্নুম্মল। তিনি ২১ বলে ১১ রান করেন। আর বাকি ব্যাটাররা দুই অঙ্কেও পৌঁছতে পারেননি। তথৈবচ দশা। দ্বিতীয় ইনিংসের ২১ ওভারেই খেলা শেষ করে দেয় রাজস্থান। মরু রাজ্যের হয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন অনিকেত চৌধুরি। ৩ উইকেট নিয়েছেন আরাফত খান। খালিল আহমেদ নিয়েছেন ২ উইকেট।
এদিকে বিদর্ভকে ৭ উইকেটে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল কর্ণাটকও। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.৫ ওভারে ১৭৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বিদর্ভ। দলের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স ছিল তথৈবচ। তার মাঝেও সাতে নেমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ বলে ৪১ রান করেন শুভম দুবে। ছয়ে নেমে যশ ঠাকুর ৩৮ রান করেন। অক্ষয় ওয়াদকার ওপেন করতে নেমে ৩২ রান করেছিলেন। কর্ণাটকের হয়ে চার উইকেট নেন বিজয়কুমার বৈশক। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মনোজ ভন্ডগে এবং জগদীশ সুচিথ।
রান তাড়া করতে নেমে ৪০.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে ফেলেকর্ণাটক। ওপেন করতে নেমে রবিকুমার সামর্থ ১১৩ বলে ৭২ রান করেন। ৬৪ বলে ৫১ রান করেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। ৪৫ বলে ৩১ রান করেন নিকিন জোস। বিদর্ভের হর্ষ দুবে নিয়েছেন ২ উইকেট।