প্রতিভা যে রয়েছে, তাতে সংশয় প্রকাশ করবেন না কেউই। কেননা অল্প সুযোগেই অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে বিস্তর সম্ভাবনা দেখিয়েছেন বৈভব সূর্যবংশী। তবে ১২ বছর বয়সে রঞ্জি ট্রফির মতো প্রথম সারির সিনিয়র ক্রিকেটের আত্মপ্রকাশ মনে রাখার মতো হল না বিহারের নবাগত ওপেনারের। অন্তত কেরিয়ারের প্রথম তিনটি ফার্স্ট ক্লাস ইনিংস দেখে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, বৈভব এখনই সিনিয়র ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত কিনা।
পাটনায় মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি ২০২৪-এর ম্যাচে সিনিয়র ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় বৈভবের। মাত্র ১২ বছর বয়সে রঞ্জি ট্রফিতে আত্মপ্রকাশ করে হইচই ফেলে দেন তিনি। তবে অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স উপহার দিতে ব্যর্থ হন সূর্যবংশী।
নিজের অভিষেক রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ বলে ১৯ রান করে আউট হন বৈভব। দ্বিতীয় ইনিংসে ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭ বলে ১২ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। উভয় ইনিংসেই দলকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দিতে ব্যর্থ হন বৈভব।
বিহার সেই ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে ১ ইনিংস ও ৫১ রানে পরাজিত হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মুম্বইয়ের ২৫১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিহার প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০০ রানে অল-আউট হয়। ফলো-অন করতে নেমে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসও গুটিয়ে যায় সেই ১০০ রানেই।
এবার সেই পাটনাতেই রঞ্জির এলিট-বি গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে বিহার। ঘরের মাঠে এবার তাদের প্রতিপক্ষে ছত্তিশগড়। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বিহার। এই ম্যাচেও ওপেন করতে নেমে ব্যর্থ হন সূর্যবংশী। তিনি ১১ বল খেলে খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। অর্থাৎ, কেরিয়ারের প্রথম ৩টি ফার্স্ট ক্লাস ইনিংসে বৈভবের ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ১৯, ১২ ও ০ রান।
ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বিহার ১০৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। তাদের ইনিংস স্থায়ী হয় ৩৮.৪ ওভার। উইকেটকিপার বিপিন সৌরভ দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অর্থাৎ, নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন তিনি। ৪৬ বলের আগ্রাসী ইনিংসে বিপিন ৯টি চার মারেন।
এছাড়া সাকিবুল গনি করেন ৬৮ বলে ৩০ রান। তিনি ৩টি চার মারেন। বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। বিহারের প্রথম চারজন ব্যাটারের তিনজনই শূন্য রানে আউট হন। ছত্তিশগড়ের রবি কিরণ একাই ঝলসে দেন বিহারের ব্যাটিং লাইনআপকে। তিনি ১৩ ওভার বল করে ৫টি মেডেন-সহ ২১ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন। ২১ রানে ৩টি উইকেট নেন বাসুদেব।