২০২৪ সালের রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই এবং বিদর্ভের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দিনের খেলায় মুম্বইয়ের প্রথম ইনিংস ২২৪ রানে গুটিয়ে যায়। মুম্বইয়ের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন শার্দুল ঠাকুর। আট নম্বরে নামার পর ৬৯ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কার সাহায্যে তিনি ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও পৃথ্বী শ ৪৬ রান এবং ভূপেন লালওয়ানি ৩৭ রানের অবদান রাখেন। বিদর্ভের হয়ে হর্ষ দুবে ও যশ ঠাকুর তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়াও উমেশ যাদব নেন দুটি উইকেট। এর জবাবে প্রথম দিনের শেষ পর্যন্ত ৩১ রানে তিন উইকেট হারিয়েছ বিদর্ভ। ধবল কুলকর্নি দুটি ও শার্দুল ঠাকুর একটি উইকেট শিকার করেছেন।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিদর্ভ। মুম্বইয়ে ঝোড়ো সূচনা এনে দিয়েছেন পৃথ্বী শ ও ভূপেন লালওয়ানি। দুজনেই প্রথম উইকেটে ৮১ রান যোগ করেন। ৩৭ রানে ব্যক্তিগত স্কোরে যশ ঠাকুরের শিকার হওয়া লালওয়ানির রূপে প্রথম ধাক্কাটা পায় মুম্বই। তাঁর পরেই পৃথ্বী শও ৪৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মাত্র ৪ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন তিনি। হর্ষ দুবের বলে বোল্ড হন পৃথ্বী। মুশির খানও তেমন কিছু করতে পারেননি এবং ব্যক্তিগত ৬ রানে হর্ষ দুবের শিকার হন। ব্যক্তিগত ৭ রানে আউট হন শ্রেয়স আইয়ার। একটা সময়ে ৯৯ রানে চার উইকেট হারিয়েছিল মুম্বই। রঞ্জিতে আইয়ারের খারাপ পারফরম্যান্স অব্যাহত থাকে। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত মুম্বইয়ের স্কোর ছিল ১০৯/৪।
লাঞ্চের পর হার্দিক তোমর (৫) ও অজিঙ্কা রাহানে (৭) আউট হন, আরও দুটি ধাক্কা খায় মুম্বই। শামস মুলানির ফর্মে সপ্তম উইকেট হারায় মুম্বই। মুলানি ৩৭ বলে ১৩ রান করেন। একটি ছক্কা মারেন তিনি। মুলানিকে প্যাভিলিয়নে পাঠান যশ ঠাকুর। এরপর ১২ বলে ৮ রান করা তনুশ কোটিয়ানকে আউট করেন ঠাকুর। মুম্বইয়ের নবম উইকেটের পতন হয়, যখন তুষার দেশপান্ডে সাজঘরে ফেরেন। ৩৪ বলে ১৪ রান যোগ করার পর রানআউট হন তুষার। তবে তখনও শার্দুল ঠাকুরের বিস্ফোরক ব্যাটিং অব্যাহত থাকে। মুম্বই থেকে আউট হওয়া শেষ খেলোয়াড় ছিলেন শার্দুল। তাঁকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান উমেশ যাদব।
এই শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে মুম্বইয়ের নজরে থাকবে রেকর্ড ৪২তম বার এই শিরোপা জয়। অন্যদিকে বিদর্ভ তৃতীয়বারের মতো ট্রফিটি দখল করতে চাইবে। ২০১০ সাল থেকে দলের পারফরম্যান্স কিছুটা খারাপ হলেও রঞ্জি ট্রফি শিরোপা জিতেছে এমন দলের তালিকায় মুম্বই অনেকটাই এগিয়ে। দলটি গত ১৪ বছরে মাত্র দুবার বিজয়ী হয়েছে। এই সময়ে বিদর্ভ জিতেছে মাত্র ২টি শিরোপা।
এখন পর্যন্ত উভয় দলের যাত্রা সম্পর্কে কথা বললে, মুম্বই এবং বিদর্ভ তাদের নিজ নিজ গ্রুপকে শীর্ষে রেখে নকআউট পর্বে প্রবেশ করেছিল। কোয়ার্টার ফাইনালে বিদর্ভ কর্ণাটকের মুখোমুখি হয়েছিল যেখানে তারা সেমিফাইনালে প্রবেশ করতে ১২৭ রানে জিতেছিল, আর মুম্বই তাদের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে বরোদার বিরুদ্ধে জিতেছিল। সেমিফাইনালে মুম্বই তামিলনাড়ুর মুখোমুখি হয়েছিল এবং বিদর্ভ মধ্যপ্রদেশের মুখোমুখি হয়। উভয় দলই তাদের ম্যাচ জিতেছে যথাক্রমে ইনিংস, ৭০ রান ও ৬২ রানে। ফাইনালে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইটাই প্রত্যাশিত।
তবে প্রথম দিনের খেলার শেষ পর্যন্ত ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে বিদর্ভ। অর্থব তাইডে ২১ রান করে ক্রিজে রয়েছেন। তারঁ সঙ্গে উইকেটে রয়েছেন আদিত্য ঠাকরে। এদিন শূন্য রানে ফেরেন ধ্রুব শোরে। তাঁকে LBW আউট করেন শার্দুল ঠাকুর। এরপরে অমন মুখাডেকে আট রানে আউট করেন ধবল কুলকর্নি। করুণ নায়ারকেও শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান ধবল কুলকর্নি। প্রথম দিনের শেষে এখনও ১৯৩ রানে পিছিয়ে রয়েছে বিদর্ভ।