নিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ। তবে দলকে টেনে তুলতে না পারার দায় এড়াতে দোষারোপ করলেন পিচের উপরে। এমনকি প্রকারান্তরে কোহলির আরও আগ্রাসী হতে না পারাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলেন আরসিবি দলনায়ক ফ্যাফ ডু'প্লেসি।
শুক্রবার এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে কেকেআরের সামনে বিরাট টার্গেট ঝুলিয়ে দিতে পারেনি আরসিবি। টি-২০ ক্রিকেটে ১৮২ রান ছোটখাটো ইনিংস নয় মোটেও। তবে চিন্নাস্বামীর ব্যাটিং সহায়ক পিচ ও ছোট বাউন্ডারির জন্য এমন স্কোর নিরাপদ নয় কখনই। সেটাই প্রমাণিত হয় ম্যাচের শেষে। কেকেআর পালটা ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
ম্যাচের শেষে হারের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে ডু'প্লেসি জানান যে, প্রথম ইনিংসে পিচে ব্যাট করা খুব একটা সহজ ছিল না। তবে কেকেআর যখন ব্যাট করে, তখন পিচে রান তোলা সহজ হয়ে দাঁড়ায়। প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলিও যে স্বচ্ছন্দে রান সংগ্রহ করতে পারেননি, এমন প্রসঙ্গও শোনা যায় আরসিবি দলনায়কের মুখে।
অর্থাৎ, কোহলির স্ট্রাইক-রেট নিয়ে যে আপ্লুত নন ডু'প্লেসি, সেই ইঙ্গিত মেলে তাঁর কথাতেই। ফ্যাফ বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে পিচে দু’রকম গতি দেখা যাচ্ছিল। রান তোলা সহজ ছিল না। তবে রান তাড়ার সময় পিচে ব্যাট করা সহজ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া একটু শিশিরও ছিল। আপনারা দেখেছেন যে, প্রথম ইনিংসে বিরাটকেও একটু সমস্যায় দেখিয়েছে ঠিক মতো বল ব্যাটে না আসায়।'
ব্যর্থতার কারণ নিয়ে ডু'প্লেসি আরও বলেন, ‘হয়তো আরও কয়েকটা বিষয় চেষ্টা করা যেত। তবে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন যেভাবে ব্যাট করে, ওরাই ম্যাচটা বার করে নিয়ে যায়। ওরা দারুণ ব্যাট করে এবং প্রথম ৬ ওভারেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।’
ম্যাচে আরসিবি স্পিনারদের অভাব টের পায় কিনা, সেই প্রসঙ্গে ডু'প্লেসি বলেন, ‘আমরা (আগে) ম্যাক্সওয়েলকেও ব্যবহার করে দেখেছি। ফিঙ্গার স্পিনাররা এখানে কার্যকরী হতে পারে। তবে আজ স্পিনারদের জন্য পিচে বিশেষ কিছু ছিল না। তার উপর ওদের ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটারের কম্বিনেশনে স্পিনারদের পক্ষে বল করা মুশকিল হয়ে দাঁড়াত। আপনারা দেখেছেন যেভাবে বেঙ্কটেশ মারছিল, দেখেই বোঝা যাচ্ছিল স্পিনারদের মারা কত সহজ হতো। এক্ষেত্রে আপনার এমন একজনকে দরকার যে, দু'দিকেই বল ঘোরাতে পারবে। তবে কম্বিনেশনের স্বার্থে এই ম্যাচে তেমন কোনও বিকল্প রাখা সম্ভব ছিল না।’