সেট হয়ে আউট রিঙ্কু সিং। বড় রানের ইঙ্গিত দিয়েও হঠাৎই থেমে যায় নীতীশ রানার ব্যাট। ফলে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জির এলিট-বি গ্রুপের ম্যাচে প্রথম ইনিংসের নিরিখে পিছিয়ে পড়তে হয় উত্তরপ্রদেশকে। হাতে ছোটখাটো পুঁজি নিয়েও উল্লেখযোগ্য লিড নিতে সক্ষম হন হনুমা বিহারীরা।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অন্ধ্রপ্রদেশ প্রথম দিনের খেলা শেষ করে তাদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৬ রান তুলে। তার পর থেকে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিনে ভয়ানক ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অন্ধ্র। তারা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২৬১ রানে। অর্থাৎ, দ্বিতীয় দিনে মাত্র ২৫ রান যোগ করতেই ৬টি উইকেট হারিয়ে বসে অন্ধ্রপ্রদেশ।
নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন অন্ধ্র দলনায়ক রিকি ভুই। তিনি ব্যক্তিগত ৯৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন। ১৮৫ বলের ইনিংসে তিনি ১০টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৪৩ বলে ৪৫ রান করেন করণ শিন্ডে। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। কেভি শশীকান্ত ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮৩ বলে ৭২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন।
হনুমা বিহারী ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৪ বলে ১১ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি শেক রশিদ। নীতীশ রেড্ডি ১৬ বলে ১১ রান করেন। তিনি ১টি চার মারেন। উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন যশ দয়াল ও অঙ্কিত রাজপুত। ২টি করে উইকেট নেন আকিব খান ও সৌরভ কুমার। উইকেট পাননি নীতীশ রানা।
পালটা ব্যাট করতে নেমে উত্তরপ্রদেশ নিয়মিত অন্তরে উইকেট হারাতে থাকে। তারা প্রথম ইনিংসে ১৯৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ওপেন করতে নেমে আরিয়ান জুয়েল লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪৬ বলে ৬০ রান করে আউট হন।
ক্যাপ্টেন নীতীশ রানা ৩০ বলে ২১ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৩টি চার মারেন। রিঙ্কু সিং ৩৩ বলে ২৬ রান করেন। তিনি ৪টি চার মারেন। আকাশদীপ নাথ ৩৩ বলে ২৬ রানের যোগদান রাখেন। তিনি ৫টি চার মারেন। খাতা খুলতে পারেননি সৌরভ কুমার।
অন্ধ্রপ্রদেশের শশীকান্ত ৫টি উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন নীতীশ রেড্ডি। পৃথ্বীরাজ ইয়ারা ও ললিত মোহন ১টি করে উইকেট দখল করেন। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৬৩ রানের লিড নেয় অন্ধ্রপ্রদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অন্ধ্র দ্বিতীয় দিনের শেষে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১৯ রান সংগ্রহ করেছে। সুতরাং, তাদের হাতে লিড রয়েছে সাকুল্যে ৮২ রানের।