সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যার নিটফল, তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে প্যাট কামিন্স ব্রিগেড। ম্যাচের পর পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মহম্মদ রিজওয়ানের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ভাবে ভাইরাল হচ্ছে। সেই ভিডিয়োতে তাঁকে এমন কিছু করতে দেখা গিয়েছে, যার কারণে তিনি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন।
গ্লেন ম্যাকগ্রার পরিবারের মহিলাদের প্রতি রিজওয়ানের কেমন শ্রদ্ধা?
আসলে স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা আনতে ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের তরফে পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এই গোলাপি টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ম্যাকগ্রার স্ত্রী জেনের মৃত্যুর পর থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। জেন ২০০৮ সালে ক্যান্সারেই মারা যান এবং তার পরে ক্যান্সারের সঙ্গে যাঁরা লড়াই করছেন, তাঁদের জন্য শুরু করা হয় ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন। গত কয়েক বছর ধরে, জানুয়ারিতে সিডনিতে খেলা প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আয়োজিত হয়। স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা আনতে এই টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। মহিলাদের লড়াইকে সম্মান জানাতে এই টেস্টে দুই দলের খেলোয়াড়রা গোলাপি টুপি পরেন এবং জার্সির নম্বরগুলিও গোলাপি রঙে লেখা থাকে। এটিকে তাই গোলাপি টেস্টও বলা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: রোহিতের T20I ক্যারিয়ারে ইতি? ব্রডকাস্টারদের পোস্টারে তেমনই ইঙ্গিত, শুরু জোর জল্পনা
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সিডনি টেস্ট শেষ হওয়ার পর গ্লেন ম্যাকগ্রার পরিবারের মহিলারা যখন সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তখন মহম্মদ রিজওয়ানের আচরণ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানের সব প্লেয়াররা ম্যাকগ্রার পরিবারের মহিলা সহ সকলের সঙ্গে করমর্দন করলেও, রিজওয়ান তা করেননি। তিনি ম্যাকগ্রার পরিবারের মহিলাদের সঙ্গে দূর থেকে হাত জোড় করে সৌজন্য দেখিয়ে চলে যান। পাল্টা সেই মহিলারাও হাতজোড় করেন। এই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
এদিকে সিডনি টেস্টে (সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড) আট উইকেটে বিশ্রি হারের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২৯ বছরে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় পাকিস্তানের। শেষ ইনিংসে ১৩০ রানের লক্ষ্য রক্ষা করতে পারেনি পাকিস্তান দল। তৃতীয় ও শেষ টেস্টে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন রিজওয়ান। প্রথম ইনিংসে ৮৮ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ রানের অবদান রাখেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও ছিলেন তিনি।