বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > SA vs AUS: ওয়ার্নার-ল্যাবুশেনের দুরন্ত সেঞ্চুরি, জাম্পার তাণ্ডব, প্রোটিয়াদের ১২৩ রানে উড়িয়ে সিরিজে ২-০ লিড অজিদের

SA vs AUS: ওয়ার্নার-ল্যাবুশেনের দুরন্ত সেঞ্চুরি, জাম্পার তাণ্ডব, প্রোটিয়াদের ১২৩ রানে উড়িয়ে সিরিজে ২-০ লিড অজিদের

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১২৩ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া মার্নাস ল্যাবুশেনের ১২৪ এবং ডেভিড ওয়ার্নারের ১০৬ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ৩৯২ রান করেছিল। তার পর তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৬৯ রানে গুটিয়ে দেয়। ১২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়ে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল।

বিশ্বকাপের ঠিক আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে তাদের বিপক্ষেই পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দাপট দেখাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। পরপর দুই ম্যাচ জিতে অজিরা এখন চালকের আসনে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ব্লুমফন্টেইনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও প্রোটিয়াদের ১২৩ রানে উড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে তারা ২-০ লিড পেয়েছে।

শনিবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। শুরু থেকেই তারা আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল অজিরা। ওপেন করতে নেমে ওয়ার্নার এবং ট্রেভিস হেড শুরুটা দুরন্ত করেছিলেন। ১১.৫ ওভারে দুই ব্যাটার মিলে প্রথম উইকেটে ১০৯ রান করে ফেলেছিলেন। ৯টি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্য ৩৬ বলে ৬৪ করে সাজঘরে ফিরে যান হেড। অধিনায়ক মিচেল মার্শ অবশ্য তিনে নেমে গোল্ডেন ডাক করে সাজঘরে ফেরেন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অল আউট করে বিশ্বরেকর্ড, অজিদের পরে টানা বৃহত্তম জয়ের নজির এখন শ্রীলঙ্কার ঝুলিতে

ওয়ার্নার এর পর তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন মার্নাস ল্যাবুশেনের সঙ্গে। তাঁরা ১৫১ রানের পার্টনারশিপ করেন। তবে ওয়ার্নার ৯৩ বলে ১০৬ রান করে আউট হয়ে যান। তাঁর ইনিংসে ছিল ১২টি চার এবং তিনটি ছক্কা। ল্যাবুশেন আবার ১৯টি চার এবং একটি ছক্কার হাত ধরে ৯৯ বলে ১২৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। এছাড়া ৩৭ বলে ৫০ করেছেন জোশ ইঙ্গলিস। মেরেছেন ৭টি চার, ১টি ছক্কা। নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে অজিরা ৩৯২ রানের বিশাল ইনিং গড়ে। প্রোটিয়াদের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাবরেজ শামসি। ২ উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাডা।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়মিত খেলা হয় না, তাই শাহিনদের সামলানো কঠিন হচ্ছে- আজব অজুহাত শুভমনের

৩৯৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব খারাপ করেননি দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুইন্টন ডি'কক এবং তেম্বা বাভুমা। তাঁরা ৯.১ ওভারে প্রথম উইকেট ৮১ রান তুলেও ফেলেছিলেন। কিন্তু পরপর দুই ওপেনার আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার পর থেকে কিছুটা যেন ছন্দপতন হয় প্রোটিয়াদের। ৪টি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৪০ বলে ৪৬ করে প্রথম সাজঘরে ফেরেন বাভুমা। দলের রান ১০০ হওয়ার আগেই আউট হন কুইন্টন ডি'ককও। ৩০ বলে ৪৫ করে আউট হন তিনি। মারেন ৬টি চার এবং ২টি ছক্কা। এর পর পঞ্চম উইকেটে হাল ধরার চেষ্টা করেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। দুই তারকাই ৪৯ করে রান করেন। কিন্তু অজিদের পাহাড় প্রমাণ রানের সামনে এটা কিছুই ছিল না। এছাড়া প্রোটিয়াদের মধ্যে ২০ রানের গণ্ডি টপকেছিলেন মার্কো জানসেন। তিনি ২৩ রান করেছিলেন। বাকিরা ২০ রানও করতে পারেননি। ৪১.৫ ওভারে ২৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ১২৩ রানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।

অজিদের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার অ্যাডাম জাম্পা। ৯ ওভার বল করে ৪৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিন। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সিন অ্যাবট, নাথান এলিস এবং অ্যারন হার্ডি।

বন্ধ করুন