মহিলাদের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগ চ্যাম্পিয়ন হল বার্বাডোস রয়্যালস। গুয়েনা অ্যামাজনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল তারা। ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন অ্যামাজন দলের অধিনায়ক স্টেফানি টেলর। বার্বাডোস রয়্যালস প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বড় রান তুলতে সক্ষম হয়। তবে দলকে বড় রান তুলতে সাহায্য করেন বার্বাডোস মহিলা দলের অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউজ। ৫৯ বলে করেন ৮২ রান। আর এর থেকেই স্পষ্ট হয়েছে, তিনি কতটা চালিয়ে খেলেছেন।
এদিন ম্য়াচের শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন ম্যাথিউজ। বিপক্ষ দলের বোলারদের কোনও রকম তোয়াক্কা তিনি করেননি। একাই তিনি খেলে গিয়েছেন। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ সেভাবে ছিলেন না। যদিও রাশদা উইলিয়ামস কিছুটা সাহায্য করার চেষ্টা করেন। এছাড়া কাউকেই তিনি বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি। এদিন ম্যাচের পুরো ব্যাটনটাই থাকে ম্যাথিউজের হাতে।
যে বোলার বল করতে এসেছেন তাকেই ল্যাজে গোবরে করে দিয়েছেন তিনি। কাউকেই এক ইঞ্চিও সুযোগ দেননি। আর সেই কারণেই মাত্র ৫৯ বলে ৮২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি বাউন্ডারি এবং মাত্র ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। তাঁর এই পারফরম্যান্স বুঝিয়ে দিয়েছে, কতটা ক্রিকেটীয় শট খেলেছেন তিনি। এছাড়া গাবি লুইস ১৮ বলে ২১ রানে ইনিংস খেলেন এবং উইলিয়ামস ২৩ বলে ৬টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে ৩৬ রান করেন। এছাড়া আর কেউ সেই ভাবে রান করতে পারেননি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তোলে বার্বাডোস।
তবে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন শাবনিম ইসমাইল। ৪ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়াও বল হাতে আরও নজর কেড়েছেন শ্রেয়াঙ্কা পাতিল। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১টি মেডেন সহ মাত্র ২৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ১টি উইকেট। সেই সঙ্গে গড়েছেন রেকর্ডও। শ্রেয়াঙ্কা প্রথম কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার যিনি বিদেশের মাটিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে গিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন। এবারের সিপিএলে ৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
১৭০ রানের টার্গেট মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নামলে শুরুটা যে খুব একটা খারাপ হয়েছে, তা একেবারেই বলা যাবে না। কারণ সোফি ডিভাইন (২২) এবং সুজি বেটস (৩৬) এই দুই ব্যাটার দলকে বেশ কিছুটা এগিয়ে দিয়ে যান। তখনও পর্যন্ত মনে হয়েছিল, এই ম্য়াচ জিততেই পারে অ্যামাজন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। শেমাইন ক্যাম্পবেল দলকে জেতাতে মরিয়া চেষ্টা চালায়। ৩৫ বলে ৪৭ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকলেও ম্যাচ জিততে পারেনি অ্যামাজন। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানে শেষ হয়ে যায় দৌড়। ৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয় রয়্যালস। ৪ উইকেট নেন আমান্দা। হেনরি নিয়েছেন ২টি উইকেট। ম্যাচের সেরা হয়েছেন হেনরি ম্যাথিউজ। এবং টুর্নামেন্টের সেরা হয়েছেন সোফি ডিভাইন।