সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে নমিবিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল জিম্বাবোয়েকে। হাই স্কোরিং দ্বিতীয় ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল জিম্বাবোয়ে। সিকন্দর রাজার অবিশ্বাস্য লড়াইয়ে ভর করে ম্যাচের একেবারে শেষ বলে জয় তুলে নেয় তারা।
উইন্ডহকে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নমিবিয়া। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৮ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। হাফ-সেঞ্চুরি করেন দুই ওপেনার মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন ও নিকোলাস ডেভিন। মাইকেল ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১০টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৬৭ রান করে আউট হন।
নিকোলাস ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ৬০ রান করে মাঠ ছাড়েন। এছাড়া ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ বলে ৩৮ রান করে আউট হন ক্যাপ্টেন জেরার্ড এরাসমাস। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১ বলে ২৫ রান করে নট-আউট থাকেন জেজে স্মিত।
জিম্বাবোয়ের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন তেন্দাই চাতারা ও রায়ান বার্ল। সিকন্দর রাজা ৩ ওভারে ৩৮ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে ১৯ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ রান তোলে। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৮ রান দরকার ছিল তাদের। শেষ ওভারে তানজেনি লুঙ্গামেনির বলে ২টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন সিকন্দর রাজা। শেষ ওভারে ১৯ রান ওঠে এবং ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় জিম্বাবোয়ে।
সিকন্দর ২টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৩টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৮২ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবোয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের এক ইনিংসে সব থেকে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েন সিকন্দর। তিনি ভেঙে দেন চিগাম্বুরার ৭টি ছক্কা হাঁকানোর নজির।
সিকন্দর রাজার ম্যাচ জেতানো ইনিংস ছাড়া এদিন ৩৭ রান করেন ইনোসেন্ট কাইয়া। ওয়েসলি মেধেভেরে করেন ২৩ রান। ২টি উইকেট নেন নমিবিয়ার এরাসমাস। ম্যাচের সেরা হন রাজা।