বিসিসিআই সচিব জয় শাহ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের শীর্ষ ক্রিকেটারদের জন্য আরও একটি সতর্কতা জারি করেছেন। কেন্দ্রীয় ভাবে চুক্তিবদ্ধ প্লেয়ারদের পাশাপাশি ভারতের ‘এ’ দলের খেলোয়াড়রাও যেন ঘরোয়া লাল-বলের টুর্নামেন্টে বাধ্যতামূলক ভাবে অংশগ্রহণ করেন, সেই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, জয় শাহ ক্রিকেটারদের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলাটা জাতীয় দলের নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি। এবং এতে অংশগ্রহণ না করলে এর গুরুতর প্রভাব পড়বে।
ঘরোয়া লাল-বলের ক্রিকেটের তুলনায় খেলোয়াড়দের আইপিএলকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতা, বোর্ড বিষয়টি মোটেও ভালো ভাবে নিচ্ছে না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের উদ্ধৃতি অনুসারে জয় শাহ চিঠিতে লিখেছেন, ‘একটি সাম্প্রতিক প্রবণতা দেখা দিয়েছে এবং উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেওয়া শুরু করেছে, এমন একটি পরিবর্তন যা প্রত্যাশিত ছিল না। ভারতীয় ক্রিকেটে সব সময়েই ঘরোয়া ক্রিকেটই মূল ভিত্তি ছিল। এবং এটি থাকবেও।’
আরও পড়ুন: বুমরাহের বলে ফের রিভার্স স্কুপ মারতে গিয়ে আউট রুট, অনবদ্য ক্যাচে খেলার মোড় ঘোরালেন যশস্বী- ভিডিয়ো
তিনি আরও লিখেছেন যে, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট ভারতীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ড গঠন করে এবং টিম ইন্ডিয়ার ফিডার লাইন হিসেবে কাজ করে।’ জয় শাহ এর সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে, যখন বোর্ড আইপিএলের সাফল্যে গর্বিত, খেলোয়াড়দেরও অবশ্যই ঘরোয়া লাল-বল ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এটির প্রাসঙ্গিকতাকে একটি ধাপ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
এই সপ্তাহের শুরুতে জয় শাহের কাছ থেকে আসা সতর্কতা সত্ত্বেও ইশান কিষান, শ্রেয়স আইয়ার এবং দীপক চাহারের মতো খেলোয়াড়রা রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের ফাইনাল রাউন্ড এড়িয়ে যান। এর পরেই চিঠিটি পাঠানো হয়। এই চিঠিতে জয় শাহ বর্তমান ক্রিকেটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, কী ভাবে অতীতে খেলোয়াড়রা ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তাদের রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করার প্রতিটি সুযোগ গ্রহণ করেছিল।
আরও পড়ুন: কুলদীপের বলে বেয়ারস্টো আউট হতেই কানেরিয়া, লিয়নকে টপকে গড়লেন শূন্য করার লজ্জার রেকর্ড
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তিরা এই উৎসর্গের উদাহরণ দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সফর থেকে ফিরে ক্লাব ক্রিকেট খেলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটকে শুধু প্রতিশ্রুতি হিসেবে নয়, বরং দায়িত্ব ও গর্বের উৎস হিসেবে দেখা হত।’
এই সপ্তাহের শুরুতে, বিসিসিআই সেক্রেটারি বলেছিলেন যে, ভারতের কেন্দ্রীয় ভাবে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের বাধ্যতামূলক ভাবে ঘরোয়া লাল-বলের টুর্নামেন্ট খেলতে হবে এবং বোর্ড এর জন্য কোনও অজুহাত সহ্য করবে না। জয় শাহ আগেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্লেয়ারদের ইতিমধ্যেই ফোনে জানানো হয়েছে এবং আমি চিঠিও লিখতে যাচ্ছি যে, নির্বাচকদের চেয়ারম্যান, কোচ এবং অধিনায়ক যদি চান, তবে আপনাকে ঘরোয়া লাল-বলের ক্রিকেট খেলতে হবে।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘যারা ফিট এবং তরুণ, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। আমরা অন্য কোনও ক্ষোভ সহ্য করব না। এই বার্তাটি সমস্ত কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের জন্যই। সবাইকে খেলতে হবে। অন্যথায়, নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান আমাকে তাঁর পরামর্শ দেবেন। এবং আমি তাঁকে স্বাধীন ভাবে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে বলব।’