তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা ওয়ানডে বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রোহিত এবং টিম ইন্ডিয়ার পারফরম্যান্স গোটা বিশ্বকাপেই দুরন্ত ছিল। কিন্তু ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া কোটি কোটি ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। ২০২৩ বিশ্বকাপে রোহিতরা একটিমাত্র ম্যাচ হেরেছেন। আর সেটা ফাইনাল। এবার আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। সেই বিশ্বকাপেটিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কত্ব কে সামলাবেন, রোহিত নাকি অন্য কেউ? তাই নিয়েও রয়েছে জোর জল্পনা।
দায়িত্ব সামলাচ্ছেন হার্দিক এবং সূর্য
রোহিত শর্মা দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অংশ নন। রোহিতের অনুপস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব নেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। এখন হার্দিক চোটের কারণে উপলব্ধ না থাকায়, এই ফরম্যাটে দলের নেতৃত্ব সামলাচ্ছেন সূর্যকুমার যাদব। এদিকে, প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রতি ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কত্বের জন্য নিজের পছন্দের কথা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: অধিনায়ক ধোনির চেয়ে রোহিতকে এগিয়ে রাখছেন অশ্বিন, কোন সমীকরণে বোঝালেন যুক্তি দিয়ে
নিজের পছন্দের কথা প্রকাশ করেছেন সৌরভ
প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে রানার্সআপ করেছিলেন, তিনিও তাঁর পছন্দের কথা প্রকাশ করেছেন। একটি ইভেন্টের ফাঁকে তিনি বলেছেন, ‘রোহিত শর্মা যখন বিশ্রামের পরে তিনটি ফরম্যাটেই দলে ফিরবেন, তখন তাঁর ভারতের অধিনায়কত্ব করা উচিত। সাম্প্রতিক বিশ্বকাপে (ওডিআই) রোহিত দারুণ পারফর্ম করেছে। ও একজন দারুণ নেতা। তাই আমি মনে করি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ওর ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকা উচিত।’
টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক রোহিতের সাফল্য
ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসাবে, রোহিত জাতীয় দলকে ৫১টি ম্যাচের মধ্যে ৩৯টিতে জিতিয়েছেন। তিনি ইয়ন মর্গ্যান, বাবর আজম এবং আসগর আফগানের ৪২ টি জয়ের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হওয়ার থেকে আর মাত্র চার কদম দূরে রয়েছেন।
৪ জুন থেকে শুরু হবে টুর্নামেন্ট
আগামী বছর আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে আয়োজিত হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে ২০টি দল। এই আইসিসি টুর্নামেন্টটি ৪ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত খেলা হবে। এই ২০টি দলকে ৫টি করে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ-২ দল সুপার-৮ রাউন্ডে যাবে। যোগ্যতা অর্জনকারী দলগুলোকে ৪টি করে ২টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। এর পর শীর্ষ-২ বাছাইপর্বের দলগুলো পৌঁছে যাবে নকআউট রাউন্ডে। পরে এই চারটি দলের মধ্যে সেমিফাইনাল হবে। আগামী ৩০ জুন হবে ফাইনাল।