শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে বারবার আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আম্পায়ারদের করা নানা ভুল বদলে দিয়েছে ম্যাচের ফল। ভারতে ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের মান যে পড়েছে, তা একটা পরিসংখ্যানের মধ্যে দিয়েই বোঝা যায়। এই মুহূর্তে আইসিসির এলিট আম্পায়ারদের যে তালিকা রয়েছে, সেখানে একমাত্র ভারতীয় আম্পায়ার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন নীতিন মেনন। এবার ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি আরও বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন সদ্য অবসর নেওয়া বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মধ্যে দিয়ে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ম্যাচের আগের দিন রাতের বেলা আম্পায়াররা এতটাই মদ্যপান করেন, কোনও কোনও সময় তো তার হ্যাংওভার নিয়েও পরের দিন মাঠে আম্পায়ারিং করেছেন তারা!
আরও পড়ুন: ৪-৫ বছর আগে রোহিতের একটা ফোনই কি বদলে দিয়েছিল যশস্বীর ক্যারিয়ার? খোলসা করলেন তরুণ তারকার শৈশবের কোচ
মনোজ তিওয়ারি আই-ই ডটকমকে জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটের সব থেকে বড় সমস্যা হল আম্পায়ারিং। আমি সমস্ত সম্মান রেখেই বলছি, ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের মান খুব খারাপ। আমার মনে হয়, সময় এসেছে বিসিসিআইয়ের চিন্তা ভাবনা করা উচিত যে, কী ভাবে আম্পায়ারিংয়ের মান উন্নত করা যায়। এটা কিন্তু একটা বা দুটো মরশুমের বিষয় নয়। আমি এই ধরনের ভুল বছরের পর বছর হতে দেখেছি। যা ম্যাচের ফলাফলের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। বড় বড় ভুল হয়েছে। পাশাপাশি খুব ছেলেমানুষের মতন ভুলও হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঘুর্ণি পিচ বানিয়ে ইংল্যান্ডকে ধরাশায়ী- নিন্দুকদের এহেন সমালোচনা ফুৎকারে ওড়ালেন রোহিত
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ওই এক ম্যাচেই আমি দেখেছি, আম্পায়াররা নো-বলের সিদ্ধান্তকেও তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রতিটা ক্ষেত্রে এমন হয়েছে। আমি জিজ্ঞাসা করেছি স্যার আপনি প্রতি বলে কেন এমনটা করছেন? আমাকে উত্তর দিয়েছেন, আমি যদি বোলারের পপিং ক্রিজ দেখি তাহলে কী বল করছে, আমি দেখব কী ভাবে? আমি তো তাহলে বোলারের বলটাই দেখতে পাব না! এমন অনেক সময় গিয়েছে, যখন গোটা স্টেডিয়াম ব্যাটারের ব্যাটের কানায় বল লাগার আওয়াজ শুনতে পেলেও, আম্পায়াররা শুনতে পায়নি। আমি অনেক সময়ে দেখেছি আম্পায়াররা মাঠে নামার আগের রাতে এত মদ্যপান করে যে, তাদের পরের দিন হ্যাংওভার কাটে না। তারা সেই অবস্থাতেই ম্যাচ খেলাতে নেমেছে। তাদেরকে দেখে ঘুমন্ত বলে মনে হয়েছে। কী ভাবে এই পরিস্থিতিতে ভালো ভাবে তাদের পক্ষে ম্যাচ পরিচালনা সম্ভব? আমি জিজ্ঞেস করেছি, স্যার কাল রাতে কী খেয়েছিলেন? উত্তর পেয়েছি, হুইস্কি অন দ্য রকস! এর পর তারা রীতিমতো হাসাহাসিও শুরু করে দেয়।’