খেলোয়াড় হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন। তবে ভারতীয় ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে বিসিসিআই যে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা বুঝিয়ে দিলেন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলনায়ক উন্মুক্ত চাঁদ। টাইমস নাওয়ের সাক্ষাৎকারে উন্মুক্ত স্পষ্ট জানালেন যে, বিসিসিআই কঠোর মানসিকতা বজায় না রাখলে ঘরোয়া ক্রিকেট শেষ হয়ে যাবে।
উন্মুক্ত আসলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদেশি টি-২০ লিগে খেলার অনুমতি না মেলা প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন। সব দেশের ক্রিকেটাররাই সারা বিশ্বজুড়ে ঘরোয়া টি-২০ লিগে মাঠে নামেন। একমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটাররা আইপিএল ছাড়া অন্য কোনও দেশের টি-২০ লিগে মাঠে নামতে পারেন না। অবসর নেওয়ার আগে বিসিসিআই কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারকে বিদেশি টি-২০ লিগ খেলার অনুমতি দেয় না।
এই প্রসঙ্গে উন্মুক্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় বিসিসিআইয়ের বিদেশি লিগে ক্রিকেটার না ছাড়ার পিছনে কিছু কৌশলগত কারণ রয়েছে। খেলোয়াড় হিসেবে আপনি অবশ্যই চাইবেন মাঠে নামার যথাসম্ভব সুযোগ কাজে লাগাতে। আপনি নিশ্চিতভাবেই বিদেশি লিগে খেলতে চাইবেন। কখনও কখনও বিদেশি লিগে মাঠে নেমে জাতীয় দলে ফেরার ঘটনাও চোখে পড়ে। ডেভিড ওয়ার্নারের মতো ক্রিকেটারকে আইপিএলে ভালো খেলার পরে সরাসরি জাতীয় দলে ফিরতে দেখেছি আমরা। সুতরাং, এটা নিজের দলে কামব্যাকেরও একটা রাস্তা খোলা রাখে।’
উন্মুক্ত আরও বলেন, ‘বেশিরভাগ বিদেশি টি-২০ লিগ খলা হয় ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের সময়। যখন রঞ্জি ট্রফি চলে, তখন অন্য দেশে খেলা হয় টি-২০ লিগ। ওয়ান ডে বিজয় হাজারে ট্রফির সময়েও কোথাও না কোথাও টি-২০ লিগ চলে। যদি খেলোয়াড়রা বিদেশে খেলতে চলে যায়, তবে ঘরোয়া ক্রিকেট শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং, অনুমতি না দেওয়ার পিছনে বিসিসিআইয়ের এমন কোনও কৌশলগত কারণ রয়েছে কিনা, সেটা বোর্ডই বলতে পারবে। তবে যদি একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমার মতামত জানতে চান, তাহলে আমি যেখানে খুশি, সব জায়গায় খেলতে যেতে চাইব।’
উল্লেখ্য, উন্মুক্ত চাঁদ ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এখন আমেরিকার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন মুলুকে টি-২০ বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান লড়াই প্রসঙ্গে উন্মুক্ত বলেন, ‘মানুষ ভারত-পাক লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। এই প্রথমবার আমেরিকায় দেখা যাবে এমন ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই লোকেরা উন্মাদনায় ভেসে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। স্টেডিয়াম খুব বড় নয়। তাই খুব বেশি লোককে জায়গা করে দেওয়া সম্ভব হবে না নিশ্চিত।’