টুর্নামেন্টের প্রথম ৬ ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরি ও ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন স্বস্তিক চিকারা। সপ্তম ম্য়াচে মাঠে নেমে ফের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। শনিবার কাশী রুদ্রাসের বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচে অর্ধশতরান করে দলের জয়ের মঞ্চ গড়ে গেন মীরাট মাভেরিকসের ওপেনার। রিঙ্কু সিং ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও স্বস্তিকের হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে জয় তুলে নিতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি মীরাটের।
কানপুরের গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কাশী। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে। দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন শিবম বনসাল। তিনি ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৬৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এছাড়া ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ বলে ২৫ রান করেন প্রিন্স যাদব। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ বলে ২০ রান করেন করণ শর্মা। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ বলে ২০ রান করে নট-আউট থাকেন অঙ্কুর মালিক। শিব সিং ৬, প্রব সিং ৮ ও মহম্মদ শারিম ১ রান করেন।
মীরাটের যশ গর্গ ৪ ওভারে ৩২ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ৩৮ রান খরচ করে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন কার্তিক ত্যাগী। ৩৩ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন কুণাল যাদব। ২৩ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন বিশাল চৌধরী। উইকেট পানিন বৈভব চৌধরী।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মীরাট মাভেরিকস ১৬.৪ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ ২০ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে মীরাট। ওপেন করতে নেমে স্বস্তিক ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অপর ওপেনার ঋতুরাজ শর্মাও দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ৪০ বলে ৬৩ রান করে মাঠ ছাড়েন। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন ঋতুরাজও।
রিঙ্কু সিং ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন দিব্যাংশ যোশি। ১ রানে নট-আউট থাকেন উবেশ আহমেদ।
কাশীর দীপাংশু যাদব ১.৪ ওভারে ১৭ রান খরচ করে একাই ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন। উইকেট পাননি আর কেউ।