গ্রুপ লিগে আগাগোড়া দলকে নির্ভরতা দিয়েছেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। মধ্যপ্রদেশকে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনিই। তবে গুরুত্বপূর্ণ নক-আউট ম্যাচে খেই হারালেন কেকেআর তারকা। অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হলেন আইয়ার।
যদিও যশ দুবে, হিমাংশু মন্ত্রী, সরাংশ জৈনদের ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে মধ্যপ্রদেশ। অন্ধ্রর নীতীশ রেড্ডি, কেভি শশীকান্তরা দাপুটে বোলিংয়ে মধ্যপ্রদেশকে তাদের ঘরের মাঠে প্রবল চাপে রাখেন।
ইন্দোরে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মধ্যপ্রদেশ। ওপেনিং জুটিতে তারা ১২৩ রান তুলে ফেলে। দুই ওপেনার যশ দুবে ও হিমাংশু মন্ত্রী দলকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দেন। তবে ম্যাচের প্রথম দিনে সেই ভিতের উপর বিরাট রানের ইমারত গড়তে পারেনি শুভম শর্মার নেতৃত্বাধীন এমপি।
যশ দুবে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ১৩৩ বলে ৬৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। হিমাংশু নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন। তিনি ব্যক্তিগত ৪৯ রানে আউট হয়ে বসেন। ৯৭ বলের ইনিংসে হিমাংশু ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হর্ষ গাওলি ২৯ বলে ১৭ রান করেন। তিনি ২টি চার মারেন। ক্যাপ্টেন শুভম ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ বলে ৬ রান করেন। বেঙ্কটেশ আইয়ার পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১ রানে আউট হন। তাঁর ইনিংস স্থায়ী হয় মোটে ৪টি বল। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা সুমিতও ১ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি অনুভব আগরওয়াল।
বিনা উইকেটে ১২৩ থেকে মধ্যপ্রদেশ একসময় ১৫৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায়। কুমার কার্তিকেয়াকে সঙ্গে নিয়ে সরাংশ জৈন দলকে লড়াইয়ের রসদ এনে দেন। কার্তিকেয়া ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৯ বলে ২৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ বলে ৭ রান করে রান-আউট হন আবেশ খান। কুলবন্ত খেজরোলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে দিনের শেষ বেলাটুকু নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন সরাংশ।
আরও পড়ুন:- 'এক বছরে' ১০ জন টেস্ট ক্রিকেটার পেল ভারত, চোখ রাখুন তালিকায়
আপাতত প্রথম দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশ ৮১ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৪ রান সংগ্রহ করে। ৪১ রানে নট-আউট থাকেন সরাংশ। ১০৮ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১ বলে ১ রান করে নট-আউট থাকেন কুলবন্ত।
অন্ধ্রপ্রদেশের কেভি শশীকান্ত ৩৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। ৫০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন নীতীশ রেড্ডি। ৪০ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট পকেটে পুরেছেন গিরিনাথ রেড্ডি।