শুক্রবার চিন্নাস্বামীতে ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করে দেখানোর সুযোগ পাননি রিঙ্কু সিং। তার আগেই সল্ট, নারিন ও বেঙ্কটেশ কেকেআরকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। নারিন তো শেষমেশ ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতে নেন। তবে কেকেআর বনাম আরসিবি ম্যাচের শেষে সব থেকে বড় পুরস্কারটা বোধহয় রিঙ্কু সিংয়ের ভাগ্যেই জোটে।
কলকাতার কাছে হারার পরে বিরাট কোহলি ছিলেন আরসিবির সাজঘরে। সেখানেই রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলাপচারিতা সারেন কোহলি। তিনি রিঙ্কুকে উদ্দীপ্ত করেন নিজের একটি ব্যাট উপহার দিয়ে। এমন বিরাট উপহার নিশ্চিতভাবেই আপ্লুত করবে নাইট তারকাকে। রিঙ্কু কতটা খুশি হয়েছেন, সেটা বোঝা যায় তাঁর অভিব্যক্তিতেই।
ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার সুযোগ না পেলেও দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেন রিঙ্কু সিং। তিনি ২টি অনবদ্য ক্যাচ ধরেন। প্রথমে সুনীল নারিনের বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন রিঙ্কু। পরে রাসেলের বলে রিঙ্কুর হাতে ধরা পড়েন রজত পতিদার।
ম্যাচে কলকাতার সার্বিক গ্রাউন্ড ফিল্ডিং ছিল জঘন্য। ম্যাক্সওয়েল রিঙ্কুর হাতে ধরা পড়ার আগে রমনদীপ সিং ও সুনীল নারিনের হাত থেকে একজোড়া জীবনদান পান। ক্যাচ মিসের কার্যত প্রদর্শনী দেখা যায়। তবে একা ব্যতিক্রমী ছিলেন রিঙ্কু সিং। নিজের তৎপরতা দিয়ে তিনি উদ্দীপ্ত করার চেষ্টা করেন নাইট রাইডার্সের ফিল্ডিংকে।
পরে কলকাতা রান তাড়া করার সময় রিঙ্কু সিং যখন ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন, জয়ের জন্য দলের প্রয়োজন ছিল মোটে ১৬ রান। ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার অপর প্রান্তে সাবলীলভাবে ব্যাট করছিলেন। তাই অহেতুক ঝুঁকি নেওয়ার রাস্তায় হাঁটেননি রিঙ্কু। কলকাতা অনায়াসে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ৫ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিং।
রিঙ্কু সিং এর আগে ইডেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে ২৩ রান করে আউট হন। সেই ম্য়াচেও একজোড়া ক্যাচ ধরেন রিঙ্কু। সুতরাং, ২টি ম্যাচে কোনও না কোনওভাবে কেকেআরের জয়ে অবদান রাখেন টিম ইন্ডিয়ার নতুন তারকা।
উল্লেখ্য, কলকাতা নাইট রাইডার্স চিন্নাস্বামীর ম্যাচে ১৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয়। আরসিবির ৬ উইকেটে ১৮২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে কেকেআর। তারা ১৬.৫ ওভারে ৩ উইকেটে বিনিময়ে ১৮৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।