শুভব্রত মুখার্জি: চলতি মরশুমে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটার এনরিখ ক্লাসেন। অসাধারণ ব্যাটিং করছেন সাদা বলের ফর্ম্যাটে। সামনেই রয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপের আসর। তার আগে ক্লাসেনের এই ফর্মে স্বস্তিতে রয়েছে প্রোটিয়া টিম ম্যানেজমেন্টও। বিশ্বকাপের দলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠতে পারেন তিনি এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। শুক্রবার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক অনবদ্য মারকুটে শতরান করেন তিনি। এর পরেই ক্লাসেন জানিয়েছেন, তাঁর ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারে কতটা প্রভাব রয়েছে কিংবদন্তি প্রোটিয়া ক্রিকেটার এবি ডি'ভিলিয়ার্সের। পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে এবি ডি'ভিলিয়ার্সের মতন খেলারও অঙ্গীকার শোনা গিয়েছে তাঁর গলাতে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে Asia Cup-এর ফাইনাল থেকে ছিটকেই গেলেন অক্ষর
চলতি বছরে প্রোটিয়াদের হয়ে ১০টি ওয়ানডে ম্যাচে খেলেছেন তিনি। যার মধ্যে ন'টি ইনিংসে ব্যাট করেছেন তিনি। করেছেন ৫২১ রান। গড় ৬৫.১২। স্ট্রাইক রেট ১৫৫'র একটু বেশি। রয়েছে দু'টি শতরান এবং একটি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ স্কোর ১৭৪ রান। যা তিনি শুক্রবারই করেছেন অজিদের বিরুদ্ধে। তাঁর দুরন্ত ইনিংসে ভর করেই অজিদের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪১৬ রানের বিরাট স্কোর করতে সমর্থ হয় প্রোটিয়া বাহিনী। মাত্র ৮৩ বল খেলে ১৭৪ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসে তিনি মারেন ১৩ টি চার এবং ১৩ টি ছয়। ফলে অজিদের বিরুদ্ধে ১৬৪ রানের বিরাট ব্যবধানে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়া বাহিনী। পাঁচ ম্যাচে সিরিজে ২-২ করে সমতায় ফেরে তাঁরা।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ জিতলেও ODI Ranking-এ একে পৌঁছতে পারবে না ভারত, সুযোগ থাকবে পাকিস্তানের
এর পরেই ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, তাঁর আইডল এবি ডিভিলিয়ার্সকে নিয়ে মুখ খোলেন এনরিখ ক্লাসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই কোনও না কোনও ক্রিকেটারকে অনুসরণ করি, তাদেরকে আমাদের রোল মডেল বানিয়ে। কারণ আমরা তাদের মতন হতে চাই। যেমন আমি এবি ডি'ভিলিয়ার্সের মতন হতে চাই। এবি ডি'ভিলিয়ার্স যে সমস্ত শটগুলো খেলত, তা আমিও খেলতে চাই। তবে এবি ডি'ভিলিয়ার্সের মতন ক্রিকেটাররা যে বিষয়টায় জিনিয়াস, তা হল, তারা জানে কখন কোন শটটা খেলতে হয়। আমি এই বিষয়টা অনেকটাই চেষ্টা করেছি, তবে এখনও সাফল্য পাইনি। আমার কাছে বিষয়টি ছিল আমার খেলাকে আরও বেশি পরিপক্ক করা। পাশাপাশি আমার অপশনগুলো কী কী রয়েছে, তাও জানার চেষ্টা করেছি আমি। আমার ক্যারিয়ারে যে জিনিসটা আমাকে সব থেকে বেশি বদল এনে দিয়েছে, তা হল প্রতিটা বলকে আমি যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে খেলি। আমার মাইন্ডসেটটা এখন সেই রকম রয়েছে। আগের বলে আমি যেটা করেছি, পরের বলে আমি সেটা না করার চেষ্টা করি। পরের বলে আমি ভেবে নিই যে, আমি কি শট খেলব। আমার কয়েক মাস সময় লেগেছে নিজের সেরা ফর্মে ফিরতে। কঠোর পরিশ্রম করেই আমি সেরা ফর্মে ফিরেছি।’