England Win 2nd ODI: তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে বদলা নিল ইংল্যান্ড। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। অ্যান্টিগায় প্রথমে ব্যাট করতে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯.৪ ওভারে ২০২ রানে অলআউট হয়। জবাবে ইংল্যান্ড ৩২.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের লক্ষ্য অর্জন করে ম্যাচ জিতে নেয়। এদিনের জয়ের মধ্য দিয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ করে সমতায় ফিরল ইংল্যান্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ইংল্যান্ড দলের শুরুটা ভালো হয়ে ছিল। ফিলিপ সল্ট ও উইল জ্যাকের মধ্যে প্রথম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে ওঠে। ১৫ বলে ২১ রান করে রোমারিও শেফার্ডের শিকার হন সল্ট। ৯ বলে মাত্র তিন রান করতে পারেন জ্যাক ক্রাউলি। বেন ডাকেটও অবদান রাখতে পারেন মাত্র তিন রান। উইল জ্যাক এবং হ্যারি ব্রুক ভালো জুটি গড়েন। ৭২ বলে ৭৩ রান করে আউট হন উইল। নিজের এদিনের ইনিংসে মারেন ৬টি চার ও চারটি ছক্কা। এরপর হ্যারি ও অধিনায়ক জোস বাটলার দলের উইকেট পড়তে দেননি এবং ৩২.৫ ওভারে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। হ্যারি ব্রুক ৪৯ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত ফেরেন এবং জোস বাটলার ৪৫ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে গুদাকেশ মতি ২টি, শেফার্ড ও রাদারফোর্ড একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক শাই হোপের ৬৮ রানের সাহায্যে ৩৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল খুবই খারাপ হয়েছিল। ৭ ওভারের মধ্যে মাত্র ২৩ রানে চার উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর শাই হোপ এবং শাফার্ন রাদারফোর্ডের মধ্যে ১২৯ রানের জুটি গড়ে ওঠে, যে কারণে দলটি ১৫০ পার করতে সক্ষম হয়। ৮০ বলে ৬৩ রান করে আউট হন রাদারফোর্ড। লিভিংস্টোন তাঁকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান। প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা ক্যাপ্টেন শাই হোপ দ্বিতীয় ম্যাচেও ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। লিভিংস্টোন তাঁর ইনিংসও শেষ করেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে স্যাম কারান ও লিভিংস্টোন ৩টি করে উইকেট নেন এবং রেহান আহমেদ ও অ্যান্টিকসন ২টি করে উইকেট শিকার করেন। ৯ ডিসেম্বর, শনিবার সিরিজের শেষ একদিনের ম্যাচটি খেলতে নামবে দুই দল।