গত ১২ বছরে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন বিস্তর। তবে এই প্রথমবার রান-আউট হলেন কেন উইলিয়ামসন। তাও নিজের ভুলে নয়। বরং নন-স্ট্রাইকার ব্যাটারের সঙ্গে ধাক্কায় ক্রিজ থেকে দূরে থেকে যেতে হয় কিউয়ি তারকাকে।
উইলিয়ামসন রান না পাওয়ায় প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের পক্ষেও বড়সড় ইনিংস গড়া সম্ভব হয়নি। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়েলিংটন টেস্টে ফলো-অন বাঁচানোও সম্ভব হয়নি কিউয়িদের পক্ষে। যদিও অস্ট্রেলিয়া বাগে পেয়েও এ যাত্রায় ফলো-অনের লজ্জা থেকে মুক্তি দেয় নিউজিল্যান্ডকে।
বেসিন রিজার্ভে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া প্রথম দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৭৯ রান তোলে। তার পর থেকে দ্বিতীয় দিনে খেলতে নেমে অজিরা তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩৮৩ রানে। ক্যামেরন গ্রিন ২৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৭৫ বলে ১৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
কিউয়িদের হয়ে ম্যাট হেনরি প্রথম ইনিংসে ৭০ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ২টি করে উইকেট নেন উইলিয়াম ও'রোর্ক ও স্কট কুলগেইন। ১টি উইকেট নেন রাচিন রবীন্দ্র। উইকেট পাননি টিম সাউদি ও ডারিল মিচেল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। তারা মাত্র ২৯ রানে ৫টি উইকেট হারিয়ে বসে। দুই ওপেনার টম লাথাম ৫ ও উইল ইয়ং ৯ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি কেন উইলিয়ামসন ও রাচিন রবীন্দ্র।
ইনিংসের ৪.৬ ওভারে স্টার্কের বল মিড-অফে ঠেলে দিয়েই রান নিতে দৌড়ন উইলিয়ামসন। নন-স্ট্রাইকার ব্যাটার উইল ইয়ংয়ের চোখ ছিল বলের দিকে। তিনি কেন উইলিয়ামসনের গতিপথে চলে আসেন। ফলে দুই ব্যাটার নিজেদের মধ্যে ধাক্কায় জড়িয়ে পড়েন। ততক্ষণে ফিল্ডার মার্নাস ল্যাবুশান বল ছুঁড়ে নন-স্ট্রাইকার প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেন।
ডারিল মিচেল মাত্র ১১ রান করে মাঠ ছাড়েন। উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেলকে সঙ্গে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপর্যয় রোধ করেন গ্লেন ফিলিপস। ব্লান্ডেল ৩৩ রানে আউট হন। ৪৩ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি চার মারেন। ফিলিপস ৭০ বলে ৭১ রান করেন। তিনি ১৩টি চার মারেন।
খাতা খুলতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের আরও দুই ব্যাটার স্কট কুলগেইন ও উইলিয়াম ও'রোর্ক। ১ রান করেন সাউদি। ৩৪ বলে ৪২ রানের কার্যকরী যোগদান রাখেন ম্যাট হেনরি। তিনি ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৭৯ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার নাথান লিয়ন ৪৩ রানে ৪টি উইকেট নেন। ৫৫ রানে ২টি উইকেট নেন হেজেলউড। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও মিচেল মার্শ ১টি করে উইকেট দখল করেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২০৪ রানে এগিয়ে থেকেও নিউজিল্যান্ডকে পুরনায় ব্যাট করতে পাঠায়নি অস্ট্রেলিয়া। পরিবর্তে নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। যদিও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। মাত্র ৪ রানের মধ্যে স্টিভ স্মিথ (০) ও মার্নাস ল্যাবুশানের (২) উইকেট হারিয়ে বসে অজিরা। দু'জনকেই সাজঘরে ফেরান সাউদি। দ্বিতীয় দিনের শেষে অজিরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ২ উইকেটে ১৩ রান। অর্থাৎ, কামিন্সরা এগিয়ে রয়েছেন ২১৭ রানে।