আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকা অবস্থায় যে কোনও দলের অন্তত আরও ২ জন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে বা ডাগআউটে ধড়াচূড়া পরে তৈরি থাকতে দেখা যায়। কেননা কোনও ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পরে তড়িঘড়ি নতুন ব্যাটসম্যানকে মাঠে নামতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন ব্যাটসম্যান মাঠে না নামলে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী ব্যাটসম্যানকে আউট ঘোষণা করতে পারেন আম্পায়াররা।
তবে ধরমশালায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ২০২৩-এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তান এত দ্রুত উইকেট খোয়াচ্ছিল যে, সম্ভবত ঠিক মতো প্রস্তুত হওয়ার সময় পাননি লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। এমন তাড়াহুড়োতেই বোধহয় আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার মুজিব উর রহমান এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন, যা দেখে হেসেই খুন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এমনকি ধারাভাষ্যকাররাও না হেসে থাকতে পারেননি।
ধরমশালায় প্রথম ইনিংসের ৩৪.২ ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন রশিদ খান। আফগানিস্তান দলগত ১৫০ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারালে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন মুজিব। তবে মাঠে নামার পরে তিনি বুঝতে পারেন যে মহা ভুল হয়ে গিয়েছে। আসলে শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের গার্ড নিতেই ভুলে গিয়েছেন মুজিব, যেখানে বল লাগলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। তিনি অ্যাবডোমেন গার্ড, ক্রিকেটের পরিভাষায় যেটি বক্স নামে পরিচিত, সেটি ছাড়াই মাঠে নেমে পড়েন।
বক্স ছাড়া ব্যাট করা অসম্ভব ব্যাটসম্যানের পক্ষে। অস্বস্তিতে রয়েছেন বুঝেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও খোঁজ নেওয়া শুরু করেন কী হয়েছে। শেষমেশ বিষয়টি উপলব্ধি করেই হেসে ফেলেন লিটন দাসরা। লিটনকে মুজিবের সঙ্গে এই নিয়ে মস্করাও করতে দেখা যায়।
পরে সাজঘর থেকে মুজিবের সতীর্থ হাতে করে গার্ডটি নিয়ে দৌড়ে মাঠে নামেন। তিনি যথা সম্ভব লুকিয়ে সেটি মাঠে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও ক্যামেরার ফোকাস তাঁর দিকে থাকায় কী নিয়ে মাঠে নামছেন আফগান ক্রিকেটার, তা লুকোনোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মজা করে ধারাভাষ্যকাররা বলেন যে, ‘লুকোনোর চেষ্টা করা বৃথা, আমরা সবাই দেখে ফেলেছি।’
উল্লেখ্য, টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান একসময় ২ উইকেটে ১১২ রান তুলে ফেলে। তবে তার পরেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষমেশ আফগানিস্তান ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৭ রান করেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ।