অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিলেন মিচেল স্যান্টনার। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে শূন্যে ভেসে জনি বেয়ারস্টোর দুর্ধর্ষ ক্যাচ নেন নিউজিল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার। যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নেটিজেন থেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ভাবতেই পারছেন না যে কীভাবে কেউ একজন এরকমভাবে ক্যাচ নিতে পারেন। সেই ঘোরের মধ্যেই সাউথহ্যাম্পটনে ইংল্যান্ডের হয়ে বিশেষ নজির গড়েন তারকা স্পিনার মইন আলি। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ১০০টি উইকেট নেওয়ার নজির গড়েন তারকা ক্রিকেটার।
স্যান্টনারের দুর্ধর্ষ ক্যাচ
রবিবার দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। দীর্ঘদিন পরে মাঠে ফিরেই উইকেট পান ট্রেন্ট বোল্ট। তবে সেটা যতটা না বেশি তাঁর উইকেট ছিল, সেটা অনেক বেশি স্যান্টনারের উইকেট ছিল। কারণ তাঁর দুর্ধর্ষ ক্যাচের কারণেই বেয়ারস্টোকে ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে হয়। যে স্যান্টনার আইপিএলে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন।
আরও পড়ুন: ENG vs NZ: ৫ উইকেটে ৫৫ থেকে ২২৬, এর পর কিউয়ি ইনিংসে ধস নামিয়ে ODI সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড
তৃতীয় ওভারের শুরুটাই লেংথ বল দিয়ে করেন বোল্ট। মিডল স্টাম্পে বলটা ছিল। সম্ভবত কিছুটা আগেই ব্যাটের ‘মুখ’ বন্ধ করে দেন বেয়ারস্টো। ইংরেজ তারকার ব্যাটে বল লেগে এক্সট্রা কভারের দিকে চলে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল যে বলটা স্যান্টনারের মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে। কিন্তু স্যান্টনার অবশ্য সেটা ভাবেননি। বরং লাফিয়ে অবিশ্বাস্য ক্যাচ নেন। বাঁ-হাতটা তুলে দিয়ে শূন্য ভেসে যান। লাফানোর টাইমিংটা একেবারে নিখুঁত ছিল। ফলে বলটা হাতে আটকে যায়। তাই শরীরটা নীচে নামার সময় স্যান্টনার ভারসাম্য হারিয়ে ফেললেও হাত থেকে বল ছিটকে বেরিয়ে যায়নি।
মইনের ১০০ উইকেট
রবিবার ২৬ তম ওভারে ডারিল মিচেলকে আউট করে একদিনের ক্রিকেটে নিজের শততম উইকেট নেন ধোনির আরও এক অস্ত্র মইন। আরও একটি বড় শট মারতে যান কিউয়ি ব্যাটার। কিন্তু ঠিকভাবে ব্যাটে এবং বলের সংযোগ হয়নি। মিড-অফে ধরা পড়ে যান। সেইসঙ্গে একদিনের ক্রিকেটে নিজের শততম উইকেট পূরণ করেন মইন। যিনি পরে আরও একটি উইকেট নিয়ে একদিনের ক্রিকেটে নিজের শিকারের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০১ করেন। সার্বিকভাবে রবিবারের ম্যাচে পাঁচ ওভারে ৩০ রান দিয়ে দু'উইকেট নেন।
সার্বিকভাবে ১৩০টি একদিনের ম্যাচে ১০১টি উইকেট নিয়েছেন মইন (১২০টি ইনিংসে বল করেছেন)। সেরা বোলিং ফিগার চার উইকেটে ৪৬ রান। গড় ৪৯.২। ইকোনমি রেট ৫.২৯। স্ট্রাইক রেট ৫৫.৮। আর ব্যাট হাতে একদিনের ক্রিকেটে করেছেন ২,২৪৫ রান। সর্বোচ্চ করেছেন ১২৮ রান। গড় ২৫.২২। হাঁকিয়েছেন তিনটি শতরান। ছ'টি অর্ধশতরানও করেছেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার।