রবিবার আমদাবাদে গুরুত্বপূর্ণ মুখোমুখি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬ উইকেটের পরাজয়ের পর ১৪০ কোটির ভারতের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। দশে দশ করে ফাইনালে উঠেছিল রোহিত শর্মারা। কিন্তু ফাইনালে শেষ রক্ষা হয়নি। ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারত একটাই ম্যাচ হেরেছে, সেটা হল ফাইনাল।
কিন্তু গোটা টুর্নামেন্টে ভালো পারফরম্যান্স করার পর কেন হারতে হল ভারতকে? এই নিয়ে এবার শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। রিকি পন্টিং, নাসের হুসেন, হরভজন সিং-এর মতো কিছু কিংবদন্তি ক্রিকেটার মনে করছেন, আমদাবাদের পিচই ‘ব্যাকফায়ার’ করেছে। অন্যদিকে সুনীল গাভাসকর এবং বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মতো তারকাদের দাবি, কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলির মধ্যে ৬৭ রানের মন্থর পার্টনারশিপই ভারতকে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেয়। গৌতম গম্ভীর এবং ওয়াসিম আক্রম আবার দাবি করেছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে রোহিত শর্মার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্তই ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছিল। যার মধ্যে একটি হল সূর্যকুমার যাদবের আগে রবীন্দ্র জাদেজাকে ব্যাট করতে নামানো।
আরও পড়ুন: ভুল অ্যাডাম জাম্পাকে ট্রোল করে হাসির খোরাক হলেন ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা
স্পোর্টসকিডার সঙ্গে কথা বলার সময়ে গম্ভীর এবং আক্রম স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা দু'জনেই এই পদক্ষেপে অবাক হয়ে গিয়েছেন। গম্ভীর বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি কেন জাদেজাকে সূর্যকুমার যাদবের আগে পাঠানো হয়েছিল। কেন ওকে সাত নম্বরে নামানো হল? আমার মতে, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না।’ আক্রম যোগ করেছেন, ‘আমি বলতে চাইছি যে, ও দলে পুরোপুরি ব্যাটার হিসাবে খেলছে। হার্দিক লাইন আপে থাকলে আমি এই পদক্ষেপটা বুঝতে পারতাম।’
প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার আরও প্রশ্ন তুলেছেন যে, ওয়ানডে ক্রিকেটে সূর্যকুমারকে ছয় নম্বরে নামানোর বিষয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট আদৌ আত্মবিশ্বাসী ছিল কিনা! গম্ভীরের দাবি, সূর্যকুমারকে যদি ৬ নম্বরে নামান হত, তবে তিনি নিজের আগ্রাসী মেজাজে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারতেন। কারণ তিনি জানতেন, এর পর জাদেজা রয়েছেন। কিন্তু সাতে নামায় তাঁকে রক্ষণাত্মক হতে হয়েছে। কারণ তাঁর মাথায় ছিল, এর পর আর কোনও ব্যটার নেই।
গম্ভীর তাই বলেছেন, ‘কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলি মন্থর জুটি গড়েছিল। সেই সময় উইকেট পড়ার পর যদি সূর্যকে নিজের স্বাভাবিক, ঝোড়ো ইনিংস খেলার নির্দেশ দেওয়া যেত, তা হলে ঠিক ছিল। কারণ জাদেজা হাতে ছিল। একজন বিশেষজ্ঞের পক্ষে এটা বলা খুবই সহজ যে, সূর্যকুমারকে সাবলীল দেখায়নি। কিন্তু সেই সময় ওর ভাবনা ছিল যে, ও যদি আউট হয়ে যায়, তাহলে পিছনে রয়েছে মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহ, (মহম্মদ) সিরাজ আর কুলদীপ (যাদব)। যদি ও জানত যে, পরে ব্যাটার (রবীন্দ্র) জাদেজা রয়েছে। তাহলে ওর মানসিকতা সম্পূর্ণ অন্য রকম হত। যদি সুর্যকুমারকে ছয় নম্বরে ভরসাই না করতে পারা যায়, তা হলে অন্য কাউকে খেলানো উচিত ছিল।’