লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এখন সমানে সমানে টক্কর চলছে। বিজেপি যখন আগ্রাসী হয়ে উঠছে তখন পাল্টা ধাক্কা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসও। প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে আয়কর তল্লাশি হয়েছিল। তারপর নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতেও তল্লাশি হয়েছিল। রাজ্য পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে তা করেছিল। এবার সন্দেশখালির ঘটনায় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে বঙ্গ–বিজেপি। ষড়যন্ত্র করেও তা ধোপে টেকেনি। প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে সত্য বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। আর এবার শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কনভয় থামিয়ে তাঁর গাড়িতে করা হল পুলিশের তল্লাশি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির দিঘা বাইপাসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে করে টাকা বা কোনও উপহার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতেই এই তল্লাশি করা হয়েছে। যদিও মহকুমা শাসক জানান, এই বিষয়টি নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী এমন তল্লাশি চালান হয়েছে। পালটা দিব্যেন্দুর দাবি, তল্লাশির জেরে সভায় পৌঁছতে দেরি হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় তাজপুরে একটি সভায় দিব্যেন্দু যাচ্ছিলেন। তখন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির দিঘা বাইপাসে কনভয় থামিয়ে তাঁর গাড়িতে পুলিশের তল্লাশি করা হয়। তাঁর গাড়িতে করে টাকা বা অন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার জন্যই দিব্যেন্দুর গাড়ি আটকানো হয়। চলে তল্লাশিও। যদিও কিছু মেলেনি।
আরও পড়ুন: ‘বিরোধী দল হিসেবে তৃণমূলের ধৈর্য প্রশংসনীয়’, কাঁথির টাউন হলের বৈঠকে শুভেন্দুর মন্তব্য
এদিকে এখন প্রার্থীদের উপর বেশি কড়াকড়ি চলছে। কাউকেই সন্দেহের উর্দ্ধে রাখতে চাইছে না পুলিশ। যদিও দিব্যেন্দু অধিকারী নিজে প্রার্থী নন। তাঁর ভাই সৌমেন্দু এবার প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি থেকে। অধিকারী পরিবারের এই সদস্য কাঁথি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই দাদার গাড়ি পরীক্ষা করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে মঞ্চে দিব্যেন্দু বলেন, ‘আমার এখানে আসতে একটু বিলম্ব হয়েছে। কারণ রাস্তায় আমাকে একটু দাঁড়াতে হয়েছিল। পুলিশ আমার গাড়ি আটকেছিল। নির্বাচন কমিশনের যে নাকা চেকিংয়ের বিধি আছে সেটার জন্যই আটকানো হয়েছিল। সেটা তাদের কাজ তারা করবে। এটা আপত্তিকর কাজ বলে আমি মনে করি না।’
অন্যদিকে সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর হেলিকপ্টারেও তল্লাশি চালান হয়। এই বিষয়ে এক সংবাদসংস্থা জানায়, নিজের কেন্দ্র কেরলের ওয়াইনাড়ে যাওয়ার পথে রাহুলের হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালান নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা। এই কংগ্রেস সাংসদের হেলিকপ্টারে আয়কর তল্লাশি নয়, হানা দেয় নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড বলে দাবি করা হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তবে দিব্যেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘পুলিশ তল্লাশির জেরে আমার দেরি হয়েছে। তাই সভায় পৌঁছতে দেরি হল। তবে এই নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। বরং গাড়ি তল্লাশি করার সময় পুলিশকে সহযোগিতা করেছি আমি।’