শুভব্রত মুখার্জি:- রবিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ষষ্ঠবার ওডিআই ফর্ম্যাটে বিশ্বকাপ জিতল অস্ট্রেলিয়া। ভারতকে ছয় উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপ শুরু হয়ে যাওয়ার পরে অনেকেই আশা করেননি এই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন অজিরা। কারণ গ্রুপ পর্যায়ে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে বাজেভাবে হারতে হয়েছিল অজিদের। ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে হারের পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অজিদের। এরপর সবকটি ম্যাচে জিতে তাঁরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। পরপর ন'টি ম্যাচে জিতেছে অজি বাহিনী। তাদের এই দুরন্ত পারফরম্যান্সে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন এই অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপ জেতার পরে তাঁর উপলব্ধি এই অজি দলের সঙ্গে থাকতে পারাটাই এক অবিশ্বাস্য বিষয়।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্শ জানিয়েছেন, 'অত্যন্ত খুশি আমি। আমি খুব গর্বিত দলের এই শিরোপা জয়ে। সেই জয়ে যোগদান করতে পেরে আমি গর্বিত। আমার ক্রিকেট কেরিয়ারের সবথেকে কঠিন আট সপ্তাহ আমি কাটিয়েছি এই সময়ে। আমাদের তৃতীয় ম্যাচের আগে আমাদের ঝুলিতে কোনও পয়েন্ট ছিল না। শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও ওরা দারুণ শুরু করেছিল। একটা সময় স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ১২০ রান। এখন মনে হচ্ছে যেন ওই ঘটনা এক যুগ আগের ঘটনা। তবে আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছি (বিশ্বকাপ জয়),যে গ্রুপের সঙ্গে আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি তারা সবাই অবিশ্বাস্য পারফর্মার।'
রবিবার ফাইনালে যদিও ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি মিচেল মার্শ। তবে একটি ছয় এবং একটি চার মেরে যে ছন্দে তিনি ব্যাট করা শুরু করেন, তা যেন দলের ছন্দকে বেঁধে দিয়েছিল। জসপ্রীত বুমরাহকে কাট করতে গিয়ে ব্যাটের ভিতরের দিকের কানায় লেগে আউট হয়ে যান মিচেল মার্শ। ১৫ বলে ১৫ রান করে কেএল রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।এর আগে গ্রুপ পর্বে অজিদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনি অপরাজিত ১৭৭ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন।একাই কার্যত বাংলাদেশ বোলারদের বেদম ঠ্যাঙানি দিয়ে দলের হয়ে জয় নিশ্চিত করেন। এর আগে বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও অনবদ্য শতরান করেছিলেন তিনি। ওই ম্যাচে তাঁর সঙ্গী অপর ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও শতরান করেছিলেন।
তারইমধ্যে বাবার সঙ্গে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করেন মিচেল। তাঁর বাবা জিওফ মার্শ ১৯৮৭ সালে ভারতেই বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। আর ২০২৩ সালে সেই ভারতেই বিশ্বকাপ জিতলেন। ইনস্টাগ্রামে বাবার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে মার্শ লেখেন, ‘১৯৮৭ থেকে ২০২৩।’
গম্ভীর-ধোনির আসা যাওয়া, রোহিত-হার্দিকের রেষারেষি, কামিন্স-স্টার্কের জারিজুরি, আইপিএল ২০২৪-এর সব খবর, লাইভ ক্রিকেট স্কোর, আইপিএলের সূচি 2024, সব তথ্য পান এক ক্লিকে। গিল না কোহলি, আইপিএলের অরেঞ্জ ক্যাপ 2024 এবার কার দখলে, আইপিএলের পার্পল ক্যাপ 2024 পরবেন কোন বোলার, নাইটদের পরিসংখ্য়ান , যে কোনও প্লেয়ারের আইপিএল 2024 স্ট্যাটস, আগেরবারের যাবতীয় রেকর্ড জানতে পড়ুন HT Bangla।