বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দলে ফিরছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং সিনিয়র পেসার টিম সাউদি। উইলিয়ামসন এবং সাউদি চোটের কারণে ইংল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে পারেননি। এই দু'টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক হিসাবে উইলিয়ামসনের জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেন টম লাথাম।
নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টেড জানিয়েছেন যে, কেন উইলিয়ামসন এসিএল ছিঁড়ে যাওয়ার পরে অস্ত্রোপচার থেকে অনেকটাই পুনরুদ্ধার করেছেন। এদিকে সাউদিও তাঁর বুড়ো আঙুলের চোট সারিয়ে দলে ফিরতে মরিয়া। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সাউদিকে নিয়ে সামান্য সংশয় থাকলেও, উইলিয়ামসন ফিরছেনই। প্রসঙ্গত, ২০২৩ আইপিএলের ওপেনিং ম্যাচেই গুরুতর চোট পেয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। এটা মনে করা হচ্ছিল যে, তিনি বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে যেতে পারেন। কিন্তু উইলিয়ামসন দ্রুত সুস্থ হয়ে এবার বিশ্বকাপেও দলকে নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: নেটে ঘণ্টা খানেক দাপুটে ব্যাটিং, তবে কি পাকিস্তান ম্যাচেই একাদশে ফিরছেন শুভমন?
তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিউয়িদের একাদশ বাছাই করা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। রাচিন রবীন্দ্র, যিনি কেন উইলিয়ামসনের জায়গায় তিন নম্বরে ব্যাট করছিলেন, তাঁকে বাদ দেওয়া নিয়ে চাপে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের দুই ম্যাচে তিনি সেঞ্চুরি এবং হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। যে কারণে উইলিয়ামসনকে দলে ঢোকাতে হলে, কাকে বাদ দেওয়া হবে, তাই নিয়েই বেকায়দায় কিউয়িরা।
উইল ইয়ং, ডেভন কনওয়ে এবং ড্যারিল মিচেলের মতো টপ অর্ডার ব্যাটারদের ফর্ম দেখে নিউজিল্যান্ড বেশ খুশি। যাইহোক নিউজিল্যান্ড তাদের থেকে আরও ভালো রান প্রত্যাশা করছে। চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরমে আগের রবিবার ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ম্যাচে উইকেট চাপে ফেলেছিল দুই দলকে। সেই ম্যাচের মতোই শুক্রবারও পিচে টার্নার থাকতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতীয় স্পিনাররা ছয় উইকেট নিয়েছিল এবং শুক্রবারও নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে স্পিনাররা সুবিধে পেতে পারেন। যে কারণে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বাজে ভাবে হারের পরে এটাই কিউয়িদের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় অক্সিজেন হতে পারে। তাদের তিন জন স্পিনার- অধিনায়ক শাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ দু'টি ম্যাচে ইতিমধ্যে ১১ উইকেট নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টাইগাররা এই তিন জনের উপর তাদের ভরসা রাখছেন।
তবে মিচেল স্যান্টনারের উপস্থিতির কারণে নিউজিল্যান্ডও কিন্তু সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই বাঁ-হাতি স্পিনার বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সাত উইকেট নিয়ে এই বিশ্বকাপে আপাতত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় একে রয়েছেন স্ট্যান্টনার।
বাংলাদেশের জন্য শাকিব, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস এবং নাজমুল শান্তর মতো সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের আবার বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। এবং স্যান্টনারকে মোকাবিলা করার জন্য অনেক সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
হেড টু হেড পরিসংখ্যানে নিউজিল্যান্ডই এগিয়ে রয়েছে। এই দুই দল ওয়ানডেতে মোট ৪১ বার মুখোমুখি হয়েছে। নিউজিল্যান্ড ৩০ বার জিতেছে, সেখানে বাংলাদেশ ১০ বার জিতেছে। একটি ম্যাচে কোনও ফল হয়নি।