সকলকে চমকে দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দেয় আফগানিস্তান ক্রিকেট টিম। নিঃসন্দেহে এই পরাজয় বাবর আজমদের কাছে বড় বিপর্যয়। আর আফগানদের এই জয়ের উৎসবে সামিল হয়েছিলেন ইরফান পাঠানও। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠানকে রশিদ খানের সঙ্গে ভাঙড়া নাচতে দেখা গিয়েছিল। আর এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতেই বিতর্কে জড়ান ইরফান।
ভারতের প্রাক্তন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার বিশ্বকাপের সম্প্রচারকারী সংস্থার ধারাভাষ্যকার। মাইক হাতে ম্য়াচের বিশ্লেষণ করতে করতে নাচতে শুরু করে যে বিতর্ক বাঁধিয়ে দেবেন, ইরফান নিজেও হয়তো ভাবেননি। ইংল্য়ান্ডকে হারানোর পর পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে একের পর এক চমক দেখাচ্ছেন রশিদ খান অ্যান্ড কোং। চেন্নাইয়ে ম্য়াচ জেতার পর তাঁদেরই উৎসবে সামিল হয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন ইরফান। বিশেষ করে পাকিস্তানের যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে পড়েছেন। সে কারণেই আরও বেশি চটেছেন পাক তারকারা। কামরান আকমলের মতো প্রাক্তন পাক তারকারা ইরফানের এই কাণ্ডে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কামরন আকমলের মতো প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার ARY নিউজকে বলেছেন, ‘ইরফান পাঠানকে নাচতে দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত। তখনও কিন্তু এই রকম খুশি দেখিনি। অথচ আফগানিস্তান যে মুহূর্তে পাকিস্তানকে হারাল খুশির জোয়ারে যেন ভেসে গেল ইরফান। এই রকম আচরণ দেখে খারাপ লেগেছে- আমার জন্য নয়, দেশের জন্য। সম্প্রচারকারী সংস্থার কিন্তু এই দিকটা নিয়ে ভাবা উচিত। নিরপেক্ষ এক ধারাভাষ্যকারের এমনটা করা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: আফগানদের কাছে হারের পর কেঁদেছে বাবর- ড্রেসিংরুমের তথ্য ফাঁস পাক প্রাক্তনীর
পাকিস্তানকে হারাতে পারলে নাচবেন, এমন প্রতিশ্রুতি অনেক আগেই নাকি ইরফান দিয়েছিলেন। সেই কারণেই তিনি নেচেছেন বলে দাবি ভারতের তারকার। নাচের শেষে রশিদ আর ইরফান একে অপরকে জড়িয়েও ধরেন। সামাজিক মাধ্যম ইরফান পাঠান লিখেওছেন, ‘রশিদ ওর প্রতিশ্রুতি পালন করেছে, আর আমি নিজেরটা। খুব ভালো পারফরম্যান্স।’ ইন্সটাগ্রামে ভিডিয়ো পোস্ট করে আবার ইরফান লিখেছেন, ‘রশিদ আমাকে কথা দিয়েছে, ওরা আবার জিতবে। আমিও কথা দিয়েছি, আবার নাচব ওদের সঙ্গে।’
সোমবার চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে আট উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় আফগানিস্তান। যা আফগানদের জন্য একটি ঐতিহাসিক জয়। কারণ সোমবারের আগে পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে কখনও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের স্বাদ পাননি রশিদ, মহম্মদ নবিরা। সাতবার খেলেছিল, সাতবারই হেরেছিল। অবশেষে অষ্টমবার ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিয়েছে আফগানিস্তান।