শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে একেবারেই ভালো ফর্মে নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এখনও পর্যন্ত তারা একটি মাত্র জয় পেয়েছে। আর বাকি সবকটি ম্যাচেই তাদের হারের মুখ দেখতে হয়েছে। শাকিব আল হাসান বাহিনী তাদের ওডিআই বিশ্বকাপের ২৪ বছরের ইতিহাসে সব থেকে খারাপ পারফরম্যান্স করেছে এই চলতি বিশ্বকাপেই। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের কাছেও তাদের শেষ ম্যাচে বাজে ভাবে হারতে হয়েছে। সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছে। ফলে অঙ্কের হিসাবেও তারা সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তারা কোয়ালিফাই করতে পারবে কি পারবে না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এমন আবহে নিজেদের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য ভাগ্যকেই দুষলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ!
আরও পড়ুন: রিপোর্ট- লঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও নেই হার্দিক, চিন্তা বাড়াচ্ছেন তারকা অলরাউন্ডার
ম্যাচ হারার পরে মিরাজ বলেছেন, ‘দিনের শেষে ম্যাচ জিততে গেলে কিছুটা হলেও ভাগ্যের সাহায্যের প্রয়োজন। যা এই মুহূর্তে একেবারেই নেই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। এই মুহূর্তে কোনও কিছুই ঠিকঠাক কাজ করছে না। আমরা যাই করিনা কেন, সব কিছুই এই মুহূর্তে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। ভাগ্যকে আমাদের সঙ্গে কিছুটা হলেও থাকতে হবে, আমাদের ভালো পারফরম্যান্স করতে গেলে। আমাদের ব্যাটাররা তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাচ্ছে। বোলাররাও বোলিং ভালো করে করতে পারছে না। যে লাইন বা লেন্থে বল করা উচিত, তা হচ্ছে না। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, এই মুহূর্তে ক্যাচ ধরতে গিয়েও আমরা তা মিস করে বসছি। আমি কারও উপর আলাদা করে দোষ চাপাব না। সময়টা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য খুব খুব কঠিন। তবে আমরা এটাও জানি, খারাপ দিনের শেষেই ভালো দিন থাকে। আমাদেরকে সেই অপেক্ষায় থাকতে হবে। আমি নিশ্চিত যে, আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই বাজে সময় কাটিয়ে উঠতে পারব।’
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ব্যাট হাতে সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ দল। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অর্ধশতরান, লিটন দাস এবং শাকিব আল হাসানের একটি ভালো ইনিংস ছাড়া বলার মতন পারফরম্যান্স করে উঠতে পারেননি।ফলে ৪৫.১ ওভারে মাত্র ২০৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ দল।লি টন দাস এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৭৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও, শেষ রক্ষা করতে পারেননি। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে মিরাজ আরও বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের পারফরম্যান্স খারাপ হচ্ছে। তবে এটাই ক্রিকেট। এখানে কোনও দিন আমরা জিতব, আবার কোনও দিন আমাদের হারতেও হবে। ইডেনের উইকেটটা খুব বেশি ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। এই উইকেটে ২৫০ রান করলে লড়াই করা যেত বলে আমি মনে করি। তবে ওদের (পাকিস্তানের) ব্যাটাররা অনেকটা স্বাধীন ভাবে, ভয়ডরহীন ভাবে খেলেছে।’